জামাির্ন

দক্ষ শ্রমিক আইনের খসড়া অনুমোদন

প্রকাশ | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ইউরোপের অন্যান্য অনেক দেশের থেকে অভিবাসন ইস্যুতে জামাির্ন বরাবরই আলাদা নীতি অবলম্বন করে থাকে। এবার বিশ্বের নানা জায়গা থেকে দক্ষ শ্রমিকদের জামাির্নতে অভিবাসন ইস্যুতে আরও একধাপ এগিয়ে গেল দেশটির সরকার। জামার্ন মন্ত্রিসভা এ বিষয়ক খসড়া আইনে অনুমোদন দিয়েছে। এ বিষয়ে মাকির্ন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নীতি অনুসরণ করলে জামাির্ন লাভবান হবে, বলছেন ব্যবসায়ীরা। দীঘির্দন ধরে জামার্ন ব্যবসায়ীরা এই আইন পাসের জন্য তদবির করে চলেছেন। গত তিন দশক ধরে রাজনৈতিক বিতকের্র কেন্দ্রে ছিল দক্ষ শ্রমিক অভিবাসন ইস্যুটি। তবে অবশেষে আঙ্গেলা ম্যাকেের্লর মন্ত্রিসভা আইনটিকে আলোর কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে দর কষাকষির পর অবশেষে এ বিষয়ে একমত হয় মন্ত্রিসভা। সম্প্রতি আলোচনার ফল নিয়ে তিন মন্ত্রী হাজির হন গণমাধ্যমের সামনে। তারা জানালেন, ২০২০ সাল নাগাদ দক্ষ বিদেশি শ্রমিক আনার কথা চিন্তা করছে সরকার। কিন্তু পালাের্মন্টে ম্যাকেের্লর খ্রিস্টীয় গণতান্ত্রিক দল সিডিইউর রক্ষণশীল অংশের বিরোধিতায় পড়ার শংকা এখনো রয়েই যাচ্ছে। শ্রমমন্ত্রী হুবেটার্স হাইল বলছেন, ‘আধুনিক জামাির্নর জন্য এটি একটি ভালো দিন।’ অথর্মন্ত্রী পেটার আল্টমায়ার এই দিনকে একটি ‘ঐতিহাসিক’ দিন হিসেবে উলেখ করেছেন। তবে শরণাথীর্ ইস্যুতে জামাির্নর জোট সরকারকে বিপদে ফেলে দেয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হোস্টর্ সেহোফার জামার্ন সমাজে এর প্রভাব বিষয়ে সতকর্ করে দিয়ে বলেছেন, ‘আমরা সমাজব্যবস্থায় বা জব সেন্টারগুলোতে দক্ষ শ্রমিকদের ভিড় চাই না, তবে চাকরিতে তাদের নেয়া যেতে পারে।’ কমীর্ সংকট ও প্রস্তাবিত আইন : নতুন আইনে জামাির্নতে বিদেশি শ্রমিকদের কাজ খেঁাজার ক্ষেত্রে বেশকিছু আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে বিদেশি শ্রমিকদের চাকরি দেয়ার ক্ষেত্রে চাকরিদাতাদের আগে প্রমাণ করতে হবে যে, তারা যে পদে লোক খুঁজছেন, কোনো জামার্ন বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো নাগরিক সে কাজে যোগ্য না। নতুন আইনে পযার্প্ত যোগ্যতা থাকলে চাকরি খুঁজতেও জামাির্নতে আসতে পারবেন দক্ষ শ্রমিকরা। সে ক্ষেত্রে তাদের নিজ কমের্ক্ষত্রে দক্ষতার প্রমাণ, জামার্ন ভাষায় দক্ষতা এবং চাকরি পাওয়ার আগ পযর্ন্ত জীবনধারণের সক্ষমতার প্রমাণও দেখাতে হবে। জামার্ন কোনো প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক অনুমোদনসাপেক্ষে দক্ষ অভিবাসীদেরও জামাির্নতে আসার অনুমতি দেয়ার কথা বলা আছে প্রস্তাবিত আইনে। বেশ কিছু খাতে, বিশেষ করে, সেবা খাত, প্রযুক্তি, ইলেক্ট্রনিক্স এবং দক্ষ নিমার্ণ শ্রমিকের ক্ষেত্রে এই মুহূতের্ কমীর্ সংকটে ভুগছে জামাির্ন। জামাির্নতে তরুণদের সংখ্যা ক্রইে কমছে, পাশাপাশি নিজ দেশের অথৈর্নতিক উন্নয়নের ফলে ইউরোপের অন্য দেশ থেকে কমীর্ আসার সংখ্যাও কমছে। জামাির্নর তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সংগঠন বিটকম জানিয়েছে, এই খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদের সংখ্যা ২০১৮ সালে গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়ে ৮২ হাজারে দঁাড়িয়েছে। রাজনৈতিক সংকট : শরণাথীির্বরোধী দলগুলো তো রয়েছেই, ম্যাকের্লকে লড়াই করতে হবে নিজ ঘরেও। সিডিইউর অপেক্ষাকৃত রক্ষণশীল অংশের ভয়, এই আইনকে এরই মধ্যে জামাির্নতে অবস্থান করা শরণাথীের্দর চাকরি দেয়ার কাজে লাগানো হতে পারে। ফলে অভিবাসন নিয়ে দীঘির্দন ধরে চলা বিতকর্ এখনই থামছে না। বিশেষ করে বাভারিয়া রাজ্যে সিডিইউর সহযোগী দল খ্রিস্টীয় সামাজিক ইউনিয়ন সিএসইউ এই আইন নিয়ে বেশ অখুশি। কারণ, এই আইনের খসড়ায় জীবনধারণের জন্য পযার্প্ত চাকরি থাকলে এবং জামার্ন সমাজে ‘ভালোভাবে অন্তভুির্ক্ত’ বিবেচিত হলে আভিবাসনপ্রত্যাশীদের ৩০ মাস পযর্ন্ত জামাির্নতে থাকার অনুমতি দেয়ার কথা বলা হয়েছে। ডয়েচে ভেলে অবলম্বনে