সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
পুরুষদের প্রতি বৈষম্যের জন্য দোষী সাব্যস্ত ‘পুরুষবিহীন’ উৎসব আইন ও বিচার ডেস্ক বৈষম্যবিরোধী রাষ্ট্র হিসেবে সুইডেনের বেশ সুনাম রয়েছে। সেখানে সম্প্রতি পুরুষদের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে ‘স্টেটমেন্ট ফেস্টিভ্যাল’ নামের একটি উৎসবের আয়োজকদের বিরুদ্ধে। এই উৎসবটি আয়োজন করা হয়েছিল শুধু নারী, তৃতীয় লিঙ্গ ও লিঙ্গ পরিচয়হীন ব্যক্তিদের জন্য। এটিকে রীতিমতো ‘পুরুষবিহীন’ উৎসব বলে ঘোষণা দিয়ে এর আয়োজন করেছিলেন উদ্যোক্তারা, যেখানে দশর্ক অথবা শিল্পী কোনোভাবেই পুরুষদের অংশগ্রহণ নিষেধ ছিল। এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা সুইডিশ কমেডিয়ান এমা কিèকার। গত বছর সুইডেনের সবচেয়ে বড় সংগীত উৎসবে নারীদের ব্যাপকহারে যৌন হামলা ও হেনস্তার ঘটনা ঘটেছিল। নারীদের ওপর সেই যৌন হেনস্তার ঘটনার প্রতিবাদ হিসেবে এমন আয়োজন করা হয়েছিল। তবে অনুষ্ঠান আয়োজনের পেছনে যেসব প্রযুক্তিবিষয়ক কাজকমর্ ছিল সেখানে পুরুষদেরও নেয়া হয়। কিন্তু সুইডেনে বৈষম্যবিরোধী সরকারি সংস্থা ‘ডিসক্রিমিনেশন ওমবুডসম্যান’ এই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের পুরুষদের প্রতি বৈষম্যের জন্য দোষী সাব্যস্ত বলে রায় দিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, উৎসবটিকে ‘পুরুষবিহীন’ হিসেবে ঘোষণা দেয়া দেশটির বৈষম্যবিরোধী আইনের পরিপন্থি। তবে দোষী সাব্যস্ত হলেও কোনো শাস্তি হচ্ছে না আয়োজকদের। আয়োজকরা অবশ্য বলছেন তারা ‘পৃথিবীকে বদলে দিতে এতটাই ব্যস্ত যে ওমবুডসম্যানের প্রতি উত্তর দেয়ার সময় তাদের নেই’। তাদের মতে, ‘এই উৎসবের সফলতাই প্রমাণ করে যে এধরনের কিছুই আমাদের দরকার’। দুদিনব্যাপী ‘পুরুষবিহীন’ উৎসবটি শুধু নারী, তৃতীয় লিঙ্গ ও লিঙ্গ পরিচয়বিহীন ব্যক্তিদের জন্য বিশ্বের প্রথম কোনো উৎসব। কেন পুরুষবিহীন উৎসব-তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এমা ক্লিকার বলেন, ‘নারীদের জন্য নিরাপদ একটি আয়োজন করতে চেয়েছি আমরা। যেখানে মেয়েরা বারবার ঘাড়ের পেছনে না তাকিয়ে কোনো উদ্বেগ ছাড়া আনন্দ করতে পারবে।’ কিন্তু তিনি একই সঙ্গে এও মনে করেন যে, আলাদা উৎসব আয়োজন কোনো সমাধান হতে পারে না। সে কারণে তিনি বলেছেন, ‘পুরুষবিহীন’ উৎসবটি মাত্র একবারের জন্যই আয়োজন করতে চান, ‘আশা করি ভবিষ্যতে এমন আয়োজন যেন আর চালিয়ে যেতে না হয়’। যে সংগীত উৎসবের প্রতিবাদে এই উৎসবের আয়োজন সেই সংগীত উৎসবটি অবশ্য এবছর বাতিল করা হয়েছে। সেটির আয়োজকরা বলেছেন, ‘কিছু পুরুষ নিজেদের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এটা লজ্জার বিষয়। তাই আমরা ২০১৮ সালের উৎসব বাতিল করছি।’ কনডমের কারণে জেলে গেল পুলিশ আইন ও বিচার ডেস্ক ৩৭ বছর বয়সী জামাির্নর বালিের্নর এই পুলিশ সদস্যকে আট মাসের জেল ও তিন হাজার ইউরো জরিমানা করা হয়েছে। যৌন মিলনের মাঝপথে সংগীর অনুমতি ছাড়া কনডম সরিয়ে লুকিয়ে ফেলেছিলেন ওই পুলিশ সদস্য। যৌন অপরাধ আইন সংস্কারের ফলে এমন অপরাধের বিচার করা সম্ভব হলো জামাির্নতে। গত বছর নভেম্বরে ওই ব্যক্তির বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। জামার্ন দৈনিক বিল্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৬ বছর বয়সী ওই নারী অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কনডম পরতে বারবার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তি কনডম পরলেও পরে মাঝপথে তা খুলে ফেলেন। ওই নারী পরে তা টের পান। ঘটনার শিকার নারী এতে রাগান্বিত হয়ে সেখান থেকে চলে যান। যৌনরোগ ছড়ানো ও গভর্বতী হওয়ার আশঙ্কা করেন তিনি। পরদিন ওই ব্যক্তি ফোনে টেক্সট পাঠিয়ে ক্ষমা চান। ওই ব্যক্তি দাবি করেন যে, মাঝপথে কনডমটি ফেটে গেলে তিনি তা সরিয়ে ফেলেন। ২০১৬ সালে জামার্ন যৌন অপরাধ আইন সংস্কার করা হয়। সেখানে সংগীর অনুমতি ছাড়া যৌন মিলনে লিপ্ত হলে তা ধষর্ণ করার শামিল হবে। তবে এই ক্ষেত্রে ওই নারী মিলনে বাধা দেননি। তবে কনডম ছাড়া মিলনে লিপ্ত হওয়ার অনুমতিও দেননি। তাই ওই ব্যক্তি অভিযুক্ত হয়েছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।