সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ০১ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আইনপ্রণেতা হলেন ২৫ আইনজীবী আইন ও বিচার ডেস্ক একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩০ ডিসেম্বর। সারাদেশে একযোগে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পযর্ন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে। ভোট শেষে গণনার পর একে একে আসতে থাকে ফল। নিবার্চনে নিরঙ্কুশ বিজয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এই বিজয়ের মধ্যদিয়ে দলটি ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে; একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা নতুন রেকডর্ করে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। জাতীয় সংসদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সবোর্চ্চ আইনসভা। ফলে সংসদে আইনজীবীদের প্রতিনিধিত্ব যে কোনো দৃষ্টিকোণ থেকেই ইতিবাচক। এবারের সংসদ নিবার্চনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হয়ে অধর্শতাধিক আসনে আইনজীবীরা প্রতিদ্ব›িদ্বতা করলেও বিজয়ী হয়েছেন ২৫ জন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট থেকে ২১ জন এবং জাতীয় পাটির্ থেকে চারজন আইনজীবী সংসদ সদস্য নিবাির্চত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট থেকে নিবাির্চত আইনজীবী সংসদ সদস্যরা হলেন নাটোর-৩: জুনাইদ আহমেদ পলক, চঁাদপুর-৩: ডা. দীপু মনি, পিরোজপুর-১: অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, পটুয়াখালী-১: অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া, টাঙ্গাইল-৮ : অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম ভিপি জোয়াহের, বরগুনা-১ : অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ : অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ময়মনসিংহ-৬ : অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন, হবিগঞ্জ-২ : অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান, হবিগঞ্জ-৩ : অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির, হবিগঞ্জ-৪ : অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, চট্টগ্রাম-৯ : ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, গাইবান্ধা-৫ : অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া, কুমিল্লা-৫ : অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, পঞ্চগড়-২ : অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন, মাগুরা-১ : অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, ঢাকা-২ : অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা-১০ : ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা-১৮ : অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, মুন্সীগঞ্জ-৩ : মৃণাল কান্তি দাস, রংপুর-৬ : শিরীন শারমিন চৌধুরী। জাতীয় পাটির্ থেকে নিবাির্চত আইনজীবী সংসদ সদস্যরা হলেনÑ বগুড়া-৩ : অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদার, কিশোরগঞ্জ-৩ : অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু, চট্টগ্রাম-৫ : ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, গাইবান্ধা-১ : ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। উল্লেখ্য, ১০ বছর পর অংশগ্রহণমূলক এই নিবার্চনে ২৯৯টি আসনে ভোট হয়। একজন প্রাথীর্ মারা যাওয়ায় গাইবান্ধা-৩ আসনে আগেই ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। সেখানে পরে ভোট নেয়া হবে। ফেসবুকে বন্ধু হতে বাধা নেই বিচারক-আইনজীবীর আইন ও বিচার ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে সবাই যখন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বুঁদ হয়ে আছে ঠিক সেই সময়ে ফ্লোরিডা সুপ্রিম কোটের্ দায়ের করা হলো একটি অদ্ভুত মামলা। আর তা হলো কোন আদালতের বিচারপতি এবং সেই আদালতেরই কোনো আইনজীবী কি একে অন্যের ফেসবুক ফ্রেন্ড হতে পারেন? এই প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট করল আদালত। বললেন বিচারক এবং আইনজীবী ‘ফেসবুক ফ্রেন্ড’ হতে বাধা নেই। খবর লাইভ ল’ ডট ইন-এর। ফ্লোরিডার সুপ্রিম কোটের্ মামলা করেছিল একটি সংস্থা। তাদের দাবি ছিল, বিচারক যদি ফেসবুকে কোনো আইনজীবীর ফেসবুক ফ্রেন্ড হন, তা বলে কোনো মামলায় সেই বন্ধুত্বের প্রভাব পড়তেই পারে। আদালত বলেছে, ফেসবুকের বন্ধু আর বাস্তবের বন্ধুত্বের মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক। তা বন্ধুত্ব থাকাটা কোনো অপরাধ নয়। বন্ধুত্বের সঙ্গে পেশাগত কারণের কী সম্পকর্ থাকতে পারে। বিষয়টা আইনের এবং অপরাধীকে চিহ্নিত করার। উল্টো দিকে অন্যায়ের শিকার হওয়া ব্যক্তিকে ন্যায় পাইয়ে দেয়া। ফলে বিচারক এবং আইনজীবীর সঙ্গে ফেসবুক বন্ধুত্ব থাকার মানে মোটেই এমন নয় যে, বিচারক আইন বিরুদ্ধ কোনো রায় দেবেন! আদালত বেশ অথর্বহ ভাবেই বলেছে, ফেসবুকের ফ্রেন্ড হয়তো কারও বন্ধু হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। কারণ, ফেসবুকে ফ্রেন্ড হওয়া সমস্ত বন্ধুকেই কেউ সশরীরে নাও চিনতে পারেন। এ ব্যাপারে নিজের ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে চোখ রাখলেই স্পষ্ট হয়ে যায়। বলে রাখা ভালো, মামলাটি করেছিল একটি ল’ ফামর্। তারা দাবি করেছিল, বিচারক এবং আইনজীবী ফেসবুক ফ্রেন্ড হলে বিচারক কোনো মামলায় পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে পুরো মামলার রায়ে তার প্রভাব পড়তে পারে।