পরকীয়ার মিথ্যা অভিযোগ করা নৃশংসতার শামিল :গুজরাট হাইকোর্ট

প্রকাশ | ০৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
কোনো প্রমাণ ছাড়াই জীবনসঙ্গীর বিরুদ্ধে ব্যাভিচার ও পরকীয়ার অভিযোগ করা নৃশংসতার শামিল। গুজরাটের শবরকণ্ঠ জেলার এক স্কুলশিক্ষক দম্পতির বিয়েবিচ্ছেদের মামলার রায়দান প্রসঙ্গে এমনই জানাল গুজরাট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। অভিযোগকারী ব্যক্তি কোর্টে জানান, ১৯৯৩ সালে বিয়ে হয় তার। ২০০৬ সালে এক পুত্রসন্তান হয় তাদের। কিন্তু সন্তানের জন্মের পরই বাড়ি ছেড়ে চলে যান স্ত্রী। ২০০৯ সালে গৃহত্যাগ ও নৃশংসতার অভিযোগ এনে নিম্ন আদালতে বিয়েবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন ওই ব্যক্তি। পাল্টা মামলা করেন স্ত্রীও। মামলায় স্বামীর বিরুদ্ধে তার এক সহকর্মীর সঙ্গে বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগ করেন মহিলা। আনেন গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগও। কিন্তু কোনো কিছুই প্রমাণ করতে পারেননি তিনি। ২০১৪ সালে নিম্ন আদালতে বেকসুর খালাস পান স্বামী। বিয়েবিচ্ছেদের অনুমতিও মেলে। নিম্ন আদালতের রায় মেনে নিতে পারেননি মহিলা। দ্বারস্থ হন গুজরাট হাইকোর্টের। সেই মামলাতে হার হলো তার। হাইকোর্ট জানিয়েছে, কোনো প্রমাণ ছাড়াই পরকীয়া ও ব্যভিচারের অভিযোগ করা হলে স্বামীর গভীর রাগ, হতাশা, যন্ত্রণা হওয়াই স্বাভাবিক। পাশাপাশি দেখা গিয়েছে, ওই মহিলা এত দিন স্বামীর পৈতৃক বাড়ি দখল করে বসবাস করছেন। ফলে স্বামী ও শাশুড়িকে ভাড়াবাড়িতে থাকতে হচ্ছে। সব দেখে হাইকোর্ট ওই ব্যক্তির বিয়েবিচ্ছেদের আর্জি মঞ্জুর করেছেন।