জামাির্ন

পোশাক কোম্পানির বিরুদ্ধে পাকিস্তানিদের মামলা খারিজ

প্রকাশ | ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
জামাির্নর পোশাক আমদানিকারক কোম্পানি ‘কিক’-এর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন চার পাকিস্তানি নাগরিক। কিন্তু জামাির্নর ডটর্মুন্ডের এক আদালত তা খারিজ করে দিয়েছে। ২০১২ সালে পাকিস্তানের করাচিতে একটি পোশাক কারখানায় আগুন লেগে আড়াইশ’র বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। ওই কারখানায় কিকের পোশাক তৈরি হতো। তাই জামার্ন এই কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা করেছিলেন চার পাকিস্তানি নাগরিক। তাদের মধ্যে তিন জনের ছেলে ওই দুঘর্টনায় নিহত হয়েছেন। অন্যজন বেঁচে যাওয়াদের একজন। বাদীরা প্রত্যেকে ৩০ হাজার ইউরো করে ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন। তবে ডটর্মুন্ডের আদালত পাকিস্তানের আইনের উল্লেখ করে মামলা খারিজ করে দিয়েছে। আদালত বলেছে, ঐ আইন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ চাওয়ার সময়সীমা পেরিয়ে গেছে। ওই আদালতের এক মুখপাত্র বলেছেন, বিচারকরা আদালতের নিয়োগ দেয়া বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একমত হয়েছেন যে, মামলাটি দুই বছরের মধ্যে দায়ের করা হয়নি। তবে বাদী পক্ষের আইনজীবী মিরিয়াম সাগে-মাস সংবাদ মাধ্যমকে রায়ের পর বলেন, ‘আমরা হতাশ, কারণ, আমরা এখনো বিশ্বাস করি, পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী মামলাটি সময় দ্বারা বারিত। এদিকে, কিকের আইনজীবী গুন্টার লেলাইটার বলেছেন, কারখানায় আগুন লাগার বিষয়টি একটি ‘সন্ত্রাসী ঘটনা’ এবং কারখানার খারাপ পরিস্থিতির কারণে আগুন লাগেনি। দুঘর্টনার পর পাকিস্তানে গঠিত একটি তদন্ত কমিটি আগুন লাগানোর জন্য স্থানীয় একটি রাজনৈতিক দলকে দায়ী করেছে। ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। এই প্রতিবেদন প্রকাশের আগে কিক ক্ষতিপূরণ হিসেবে পঁাচ লক্ষ ডলারের একটি জরুরি তহবিল গঠন করেছিল। অথের্র পরিমাণ দ্বিগুণ করার কথাও বিবেচনা করছিল। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর সেই অঙ্গীকার থেকে সরে এসেছিল কিক। মামলায় রায়ের আগে একজন বাদীর আইনজীবী রেমো ক্লিঙ্গার বলেছিলেন, ওই কারখানার আগুন নেভানোর ব্যবস্থা ঠিক আছে কিনা, সেটি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নেয়নি কিক। তাই এত মানুষের মৃত্যুর জন্য তারাও দায়ী। এদিকে রায়ের পর বাদীদের একজন সাঈদা খাতুন বলেছেন, ‘আমি খুবই দুঃখ পেয়েছি, কারণ, আদালত আমাদের কথা শোনেননি। আমরা আমাদের সন্তানদের হারিয়েছি। মনে হচ্ছে, কেউ গরিব শ্রমিকদের নিয়ে ভাবে না। কোম্পানির পক্ষে এই রায় হয়েছে। কিন্তু আমি আমার অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবো।’ উল্লেখ্য, বালির্নভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর কন্সটিটিউশনাল অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস বাদীদের সহায়তা করছে। আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ডয়েচে ভেলে অবলম্বনে