বিয়েবিচ্ছেদের পর সাবেক স্ত্রীর সন্তানদের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে হবে স্বামীকেই। সাবেকের পূর্বতন বিবাহের সন্তান বলে তার প্রতি দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না বিয়েবিচ্ছিন্ন স্বামী। একটি মামলায় সম্প্রতি এমনটাই রায় দিলেন দিলিস্নর হাইকোর্ট।

বিয়েবিচ্ছেদের পর সন্তানের ভরণপোষণ এড়াতে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। দিলিস্ন হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব সচদেবা এবং বিকাশ মহাজনের বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, স্ত্রীর আগের বিয়ের সন্তান রয়েছে জেনেই বিবাহে সম্মত হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। বিচ্ছেদের পর তাই সেই সন্তানদের দায়িত্বের ভার তাকেও নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে, অন্য কোনো যুক্তিই গ্রাহ্য হওয়া উচিত নয় বলে জানান আদালত।

মামলাকারীর বিয়েবিচ্ছিন্ন স্ত্রীর দুই কন্যা রয়েছে। তার মধ্যে একজন তার প্রথম পক্ষের স্বামীর সন্তান, অন্যজন দ্বিতীয় পক্ষের অর্থাৎ মামলাকারীর সন্তান। পারিবারিক আদালতে তাদের বিয়েবিচ্ছেদের মামলা চলছিল। বিচারক রায় দিয়েছিলেন, দুই কন্যার জন্যই প্রথম ৫ বছর মাসে মাসে ২৫০০ টাকা করে এবং পরবর্তী ৫ বছর মাসে মাসে ৩৫০০ টাকা করে দিতে হবে মামলাকারীকে।

এ ছাড়া, দুই কন্যা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী না হওয়া পর্যন্ত, অথবা তাদের বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত ৫০০০ টাকা করে তাঁদের দিতে হবে বলেও জানিয়েছিলেন পারিবারিক আদালত। মামলাকারী এই রায়ে কিছু সংশোধন চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তার বক্তব্য, স্ত্রীর সাবেক স্বামী সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। তার মৃতু্যর পর স্ত্রীর প্রথম পক্ষের সেই কন্যার ভরণপোষণ করে সেনাবাহিনীই। এ ছাড়া, নিহত ওই সেনাকর্তার এক আত্মীয়ও তার খরচ বহন করেন। ফলে তার জন্য বাড়তি খরচের প্রয়োজন নেই।

নমিনির অনুপস্থিতে মৃত ব্যক্তির ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা কে পাবে?

দিলিস্নর হাইকোর্ট গত ১ মার্চ এই মামলার রায় দেন। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, যদি ওই মহিলা জানতেন যে তার দ্বিতীয় স্বামী প্রথম পক্ষের সন্তানের দায়িত্ব নেবেন না, তা হলে হয়তো তিনি তাকে বিবাহও করতেন না। ফলে প্রথম পক্ষের কন্যার রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন নেই বলে মামলাকারী হাত গুটিয়ে নেবেন, তা হতে পারে না।