তামিলনাড়ুর আইন বহাল রেখে ষাঁড়ের খেলাকে বৈধতা দিলেন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট

প্রকাশ | ২৩ মে ২০২৩, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
জালিস্নকাট্টুকে অনুমোদন দিয়ে তামিলনাড়ু সরকার যে আইন এনেছিল, তাকে বহাল রাখলেন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। মহারাষ্ট্র, কর্নাটক এই ষাঁড়ের খেলা নিয়ে যে আইন করেছিল, সেগুলোও 'বেআইনি' নয় বলেই জানালেন সুপ্রিম কোর্ট। কে এম জোসেফের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছেন, জালিস্নকাট্টুর সঙ্গে নৃশংসতার কোনো যোগাসূত্র নেই। একে রক্তক্ষয়ী খেলাও বলা যায় না। তবে শীর্ষ আদালত এই খেলায় ব্যবহৃত পশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যকে। ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট জালিস্নকাট্টুকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন। জানায়, সংবিধানে পশুদের যে অধিকার রক্ষার কথা বলা হয়েছে, এই খেলা তা লঙ্ঘন করে। এই রায়ের পর তামিলনাড়ু, কর্নাটক এবং মহারাষ্ট্র জালিস্নকাট্টু, কাম্বালা এবং ষাঁড়ের গাড়ির খেলাকে বৈধতা দিয়ে নতুন আইন আনেন। সেই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় পশুদের অধিকার রক্ষাকারী সংগঠন পেটা। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার জানালেন, তামিলনাড়ু, কর্নাটক এবং মহারাষ্ট্রের আনা আইন বৈধ। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, জালিস্নকাট্টু নৃশংস নয়। এই খেলায় পশুদের খুনের জন্য কেউ যোগ দেয় না। একে রক্তক্ষয়ী খেলা বলা যায় না। কারণ এই খেলায় কোনো অস্ত্র ব্যবহার করা হয় না। বিচারপতি কে এম জোসেফ, বিচারপতি অজয় রাস্তোগী, বিচারপতি অনিরুদ্ধা বসু, বিচারপতি হৃষীকেশ রায়, বিচারপতি সিটি রবিকুমারের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, 'খেলায় কারও কারও মৃতু্য হয়, তার মানে এই নয় যে এটা রক্তক্ষয়ী খেলা। আমরা মোটেও বলব না, যারা এই খেলায় অংশগ্রহণ করেন এবং ষাঁড়ের পিঠে চাপেন, তারা আসলে রক্তপাত ঘটানোর জন্যই এ সব করেন। প্রতিযোগীরা পশু খুন করতে অংশগ্রহণ করেন না। ঘটনাচক্রে রক্তপাত হয়।'