যুক্তরাষ্ট্র

তারকাদের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইনে মামলা করছে পাপারাজ্জিরা

প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
তারকা এবং পাপারাজ্জিদের স¤পকর্টা সবসময়ই তিক্ততার। এমন সম্পকের্র কারণ পাপারাজ্জিদের বিরুদ্ধে তারকাদের অনেক অভিযোগ। তারকাদের অভিযোগ, তাদের একান্ত ব্যক্তিগত জীবন বা গোপন বিষয়গুলোর পিছু নেয় পাপারাজ্জিরা। এটা তাদের ব্যক্তিজীবনের ওপর আক্রমণ বলে তারা মনে করেন। পশ্চিমা বিশ্বে তারকারা একান্ত ব্যক্তিগত সময় কাটাতে গিয়েও অনেক সতকর্ থাকেন। পাপারাজ্জির ক্যামেরা তাদের অনুসরণ করছে কিনা, তাদের ব্যক্তিগত বিষয় বা গোপন কিছু পাপারাজ্জির ক্যামেরায় ধরা পড়লো কিনা? এই আতঙ্ক কাজ করে তারকাদের মাঝে। এসব নিয়ে তারকাদের অনেক অভিযোগ ছিল। তাদের মধ্যে একটা উত্তেজনাকর সম্পকর্ও রয়েছে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে অভিযোগের স্রোত বইতে শুরু করেছে উল্টোদিকে। অভিযোগ আনা হচ্ছে তারকাদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ হচ্ছে, অনেক তারকা সামাজিক নেটওয়াকের্ ছবি ব্যবহার করে কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করছেন। এমন অভিযোগে জেনিফার লোপেজ এবং মডেল গিগি হাদিদসহ বেশ কয়েকজন তারকার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। একজন তারকা হয়তো ভাবতে পারেন, পাপারাজ্জি তার ছবি তুলেছে, অথবা কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে তাকে কেন্দ্র করেই ছবি তোলা হয়েছে। ফলে সামাজিক নেটওয়াকের্ নিজের পোস্টে তা ব্যবহারে কোনো বাধা নেই। তবে কপিরাইট আইনে ছবির মালাকানার প্রশ্ন আছে। যে ফটোগ্রাফার ছবি তুলেছেন, তার মালিকানার প্রশ্ন আছে। এ ছাড়া একজন ফটোগ্রাফার কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য ছবি তুললে, তখন ত্রিপক্ষীয় চুক্তি ছাড়া এর মালিকানা নিয়ে জটিলতা থাকবে। সম্প্রতি মডেল গিগি হাদিদের বিরুদ্ধে একজন ফটোগ্রাফার কপিরাইট আইনে মামলা করেছেন। এই মডেল তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ফটোগ্রাফারের অনুমতি না নিয়ে ছবি পোস্ট করেছেন। এমন অভিযোগ আনা হয়েছে মামলাটিতে। যদিও ওই মডেলকে নিয়েই ছবিগুলো তোলা হয়েছিল। একই ধরনের মামলা হয়েছিল জেনিফার লোপেজের বিরুদ্ধে। তিনি তাকে নিয়ে তোলা বিভিন্ন ছবি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে মেধাস্বত্ব¡ বা কপিরাইট বিষয়ে আইনজীবী নীল চ্যাটাজির্ বলেছেন, সামাজিক নেটওয়াকর্ মেধাস্বত্বের বিষয়গুলোকে জটিল থেকে জটিলতর করছে। তিনি উল্লেখ করেছেন, টুইটারে যেহেতু কোনো ছবি রি-টুইট করা যায়, তখন কপিরাইট বা ছবি মালিকানার বিষয়ে জটিলতা দেখা দিতে পারে। নীল চ্যাটাজির্ বলেছেন, এ ধরনের মামলাগুলো কপিরাইট ট্রলিং হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠছে। তিনি বিশ্বাস করেন, ফটো এজেন্সিগুলো তাদের আয় বাড়ানোর জন্য নতুন এই উপায় বেছে নিয়েছে। বিবিসি অবলম্বনে