সংবিধান সংশোধনে মিয়ানমার সংসদে কমিটি গঠন

প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে আলোচনা করতে একটি কমিটি গঠনের ব্যাপারে ভোট হয়েছে মিয়ানমার সংসদে। সামরিক আইনপ্রণেতাদের বিরোধিতার মধ্যে প্রস্তাবটি পাস হয়েছে। মোট ৬১১ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে কমিটি গঠনের পক্ষে ভোট দেন ৪১৪ জন। উল্লেখ্য, সংসদের দুই কক্ষেই অং সান সু চির দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। ডেপুটি স্পিকার টুন টুন হাইন এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন। এ ছাড়া কমিটিতে অন্য রাজনৈতিক দল ও সামরিক আইনপ্রণেতাদের সমান সংখ্যা থাকবে। অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি’ বা এনএলডি গত সপ্তাহে সংসদে একটি ‘জরুরি প্রস্তাব’ উত্থাপন করে। ২০০৮ সালে সেনাবাহিনী যে সংবিধান সংশোধন করেছিল, সেটিকে অগণতান্ত্রিক আখ্যা দিয়ে তা সংশোধনের প্রস্তাব আনা হয়। সু চি ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রায় তিন বছর অতিবাহিত হতে চললো এবং সেনাবাহিনীর ছত্রছায়ায় চালিত সরকারে থেকে এই প্রথম এত বড় চ্যালেঞ্জ নিলেন তিনি। ২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর নিপীড়নের কারণে মিয়ানমার সরকার কঠোর আন্তজাির্তক চাপের মধ্যে রয়েছে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে ৭ লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা। আন্তজাির্তক সম্প্রদায় বরাবরই রোহিঙ্গাদের ওপর নিযার্তন-নিপীড়নের জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর কঠোর সমালোচনা করে আসছে। সংবিধানে সেনাবাহিনীর জন্য সংসদে ২৫ শতাংশ আসন বরাদ্দের কথা বলা আছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূণর্ মন্ত্রণালয়গুলোতেও সেনা সদস্যদের নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। সংবিধানে পরিবতর্ন আনতে হলে ৭৫ শতাংশের বেশি সংসদ সদস্যের ভোট প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীর সংসদ সদস্যরা পরিবতের্নর বিপক্ষে ভোট দিলে প্রস্তাবটি পাস হতে পারবে না। বতর্মান সংবিধানে সু চির প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে বাধা রয়েছে। কারণ বিদেশি স্বামী বা স্ত্রী থাকলে সেই ব্যক্তি মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হতে পারেন না। সু চির স্বামী ব্রিটিশ ছিলেন এবং তার দুই সন্তানও ব্রিটিশ নাগরিক। তবে সংবিধানের কোন ধারাগুলো সংস্কার করা হবে তা এখনো স্পষ্ট করেনি এনএলডি।