ঘানায় বাতিল হচ্ছে মৃতু্যদন্ডের বিধান

প্রকাশ | ০১ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
মৃতু্যদন্ডের বিধান বাতিলের পক্ষে ভোট দিয়েছে ঘানার পার্লামেন্ট। পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে সর্বশেষ মৃতু্যদন্ড কার্যকর হওয়ার তিন দশক পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অধিকার গোষ্ঠী অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই ভোটকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা এটিকে একটি 'যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত' হিসেবে বর্ণনা করেছে এবং প্রেসিডেন্ট নানা আকুফো-আডোকে এটিকে স্বাক্ষর করে আইনে পরিণত করার আহ্বান জানিয়েছে। বর্তমান আইনের অধীনে, ঘানায় গণহত্যা, জলদসু্যতা, চোরাচালান, হত্যা কিংবা রাষ্ট্রদ্রোহের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে, মৃতু্যদন্ড কার্যকর করা হতে পারে। ১৯৬০ সালের ফৌজদারি ও অন্যান্য অপরাধ আইনের অধীনে, ফাঁসি বা ফায়ারিং স্কোয়াডে এই শাস্তি কার্যকর হতে পারে। পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি বিগত ৩০ বছরে কাউকে মৃতু্যদন্ড দেয়নি এবং এই সপ্তাহে পার্লামেন্ট মৃতু্যদন্ড সম্পূর্ণভাবে রদ করার জন্য একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। বিরোধী সংসদ সদস্য ফ্রান্সিস-জেভিয়ার সোসু, এই বিলটি উত্থাপন করেন। তিনি জানিয়েছেন, এটি ঘানার গণতন্ত্রের জন্য একটি মাইলফলক সিদ্ধান্ত এবং প্রেসিডেন্ট আকুফো-আডোকে মৃতু্যদন্ডপ্রাপ্তদের সাজা এখন থেকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে রূপান্তর করার আহ্বান জানিয়েছেন। ১৯৭৭ সাল থেকে, বিশ্বব্যাপী মৃতু্যদন্ড বিলোপের জন্য প্রচার অভিযান চালাচ্ছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। ঘানার পার্লামেন্ট প্রথাটি বাতিল করার পক্ষে ভোট দিয়েছে, এমন সংবাদের প্রতিক্রিয়ায়, আন্তর্জাতিক অধিকার গোষ্ঠীটি এক বিবৃতি জারি করে বলেছে, 'এটি তাদের সবার জন্য একটি বিজয়, যারা এই নিষ্ঠুর শাস্তিকে ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য এবং জীবনের অধিকারের সুরক্ষাকে শক্তিশালী করার জন্য অক্লান্ত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।' তবে, ঘানার সবাই যে আইন প্রণেতাদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে, তা নয়। ঘানা ইউনিভার্সিটির ধর্মীয় প্রভাষক হ্যারি আগবানু বলেছেন, মৃতু্যদন্ডের বিলুপ্তি মানুষের জন্য আইন হাতে তুলে নেওয়ার জন্য একটি প্রণোদনা হবে। কারা কর্তৃপক্ষের রেকর্ড অনুসারে, এই মুহূর্তে ঘানায় মৃতু্যদন্ডের মুখোমুখি হওয়া মোট লোকের সংখ্যা ১৭৬ জন, যাদের মধ্যে ছয়জন নারী রয়েছে। প্রশাসন সূত্র বলছে, প্রেসিডেন্ট আকুফো-আডো আগামী সপ্তাহের মধ্যে বিলটিতে সম্মতি দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি সম্মতি দিলে, ঘানা ৫৫টি আফ্রিকান দেশের মধ্যে ২৯টির একটি লীগে যোগ দেবে, যারা ইতোমধ্যে মৃতু্যদন্ড বাতিল করেছে।