আরব আমিরাত

হিন্দিকে আদালতের ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি

প্রকাশ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আরব উপসাগরীয় দেশ আমিরাতের আদালতে এখন থেকে আইনি কাজকর্ম হিন্দিতেও করা যাবে বলে জানায় দেশটির কর্তৃপক্ষ। দেশটিতে দুই-তৃতীয়াংশ বিদেশি থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আদালতে ব্যবহারের তৃতীয় ভাষা হিসেবে হিন্দিকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। দেশটিতে এতদিন আরবি ছাড়া ইংরেজিতেও আইনি প্রক্রিয়া চলত। এখন থেকে আরবি আর ইংরেজির পাশাপাশি হিন্দিতেও আদালতের কার্যক্রম চলবে বলে জানানো হয়। আরব আমিরাতে জনসংখ্যা ৫০ লাখের কাছাকাছি। এর মধ্যে প্রায় ২৬ লাখ হিন্দিভাষী মানুষের বাস। অর্ধেকেরও বেশিসংখ্যক এ সব হিন্দিভাষী অভিবাসীদের আরবি ও ইংরেজিতে তেমন দখল নেই। যে কারণে এসব হিন্দিভাষী লোকজন আইনের সংস্পর্শে আসলে আইনি ভাষা বুঝতে নানারকম সমস্যায় পড়েন। তাদের কথা ভেবেই এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দেশটির বিচার বিভাগ জানায়, হিন্দিকে স্বীকৃতি দেয়ায় হিন্দিভাষী বিদেশি নাগরিকরা বিশেষত শ্রমিকরা সবচেয়ে উপকৃত হবেন। বিচারব্যবস্থার সঙ্গে জড়িয়ে পরা ব্যক্তিদের ভাষাগত অসুবিধা দূরীকরণের উদ্যোগের আওতায় এই স্বীকৃতি দেয়া হলো। হিন্দিভাষী বিদেশি নাগরিকরা বিশেষত শ্রমিকরা আরবি ও ইংরেজি না জানলেও সমস্যা নেই। হিন্দিতে নিজেদের দাবি-দাওয়া লিখিতভাবে আদালতে জানাতে পারবেন তারা। এ ছাড়া বয়ানও দেয়া যাবে হিন্দিতে। এ ছাড়া পিটিশনও জমা দেয়া যাবে এ ভাষায়। আদালতে ব্যবহৃত নানা ধরনের আবেদনপত্রও হিন্দিতে ছাপানো হবে বলে জানায় বিচার বিভাগ। হিন্দিকে আদালতের তৃতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার অংশ হিসেবে বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটেরও একটি হিন্দি সংস্করণ আনা হচ্ছে। তাতে জটিল আইনি ভাষাগুলো হিন্দিতে অনুবাদ করা থাকবে। যাতে প্রয়োজনমতো সেখানকার আইন-কানুন রপ্ত করে নিতে পারেন হিন্দিভাষী বিদেশি নাগরিকরা। মামলাসংক্রান্ত ফাইলপত্র এবং আদালতের রায়েরও হিন্দি কপি হাতে পাবেন তারা। আরব আমিরাতে বিচার বিভাগের চেয়ারম্যান শেখ মনসুর বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, তিনি আবার দেশটির ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতি উপদেষ্টাসংক্রান্ত দপ্তরেরও প্রধান। বিচারব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে, তার নির্দেশেই হিন্দিকে আদালতে তৃতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিচার বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি ইউসুফ সাঈদ আল আবরি। ইন্টারনেট অবলম্বনে