অগ্রক্রয়ের আইনি বিধান

প্রকাশ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
আইনে অগ্রক্রয় বা ঢ়ৎব-বসঢ়ঃরড়হ একটি আলোচিত বিধান। জমির সহ-অংশীদারদের জন্য কোনো জোতের কোনো শরিক বা সহ-শরিকরা যদি ওই জোতে অবস্থিত তার জমির কোনো অংশ বা অংশ-বিশেষ ওই জোতের কোনো শরিক বা সহ-শরিক ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে, তবে ওই জোতের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমির অন্য কোনো শরিক বা সহ-শরিক ওই সম্পত্তির বিক্রয়মূল্য ও নির্ধারিত হারে ক্ষতিপূরণ প্রদান করে আদালতের মাধ্যমে ওই জোতের বিক্রয়কৃত জমিটি আবার ক্রয় করার অধিকার অর্জন করতে পারে। সহ-শরিক কর্তৃক অর্জিত এ ধরনের অধিকারকে অগ্রক্রয় বা ঢ়ৎব-বসঢ়ঃরড়হ বলে। কৃষি জমির অগ্রক্রয়ের অধিকার সম্পর্কে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন-১৯৫০ এর ৯৬ ধারায় বলা হয়েছে। এ আইনের ৯৬ (১) ধারা মতে, ৮৯ ধারার অধীন সহ-শরিককে নোটিশ দেয়া হলে, নোটিশ পাওয়ার তারিখ থেকে পরবর্তী ২ (দুই) মাসের মধ্যে এবং নোটিশ না পেলে হস্তান্তর সম্পর্কে জানার পরবর্তী ২ (দুই) মাসের মধ্যে দেওয়ানী আদালতে অগ্রক্রয়ের মামলা দায়ের করতে হয়। আইনের ৯৬ (১) (এ) ধারা মতে, কেবল উত্তরাধিকার সূত্রে কোনো হোল্ডিংয়ের সহ-শরিক (ধ পড়-ংযধৎবৎ :বহধহঃ রহ :যব যড়ষফরহম নু রহযবৎরঃধহপব) অগ্রক্রয়ের আবেদন করতে পারবে। ৯৬ (১) (ডি) ধারা মতে, বিক্রয় দলিল রেজিস্ট্রেশনের ৩ (তিন) বছর পর অগ্রক্রয়ের মামলা দায়ের করা যায় না। ৯৬ (২) ধারা মতে, আদালতে অগ্রক্রয় মামলা দায়েরের সময় ওই জোতের উত্তরাধিকার সূত্রের সব শরিক ও কবলা ক্রেতাকে পক্ষ করতে হবে। আইনের ৯৬ (৩) (এ) ধারা মতে, জমির কবলা দলিলে উলিস্নখিত মূল্য; ৯৬ (৩) (বি) ধারা মতে, ২৫% ক্ষতিপূরণ এবং ৯৬ (৩) (সি) ধারা মতে, ৮% সরল সুদ জমা দিয়ে অগ্রক্রয় মামলা দায়ের করতে হবে। আইনের ৯৬ (৯) (ই) ধারা মতে, আদালতে অগ্রক্রয়ের আবেদন মঞ্জুর হলে সংশ্লিষ্ট আদালত কবলা দলিলের ক্রেতাকে পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রি অফিসে আবেদনকারীর বরাবরে দলিল রেজিস্ট্রেশনের নির্দেশ দিবেন। এ ধারার দলিল রেজিস্ট্রেশন সব শুল্ক, ফি ও কর মুক্ত হবে। আইনের ৯৬ (১০) ধারা মতে, কবলা দলিলের ক্রেতা ৬০ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি করে দিতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট আদালত পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে কবলা দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রেশনের জন্য দাখিল করবেন।