লকডাউনের কারণে বাতিল হওয়া শো-এর জন্য ক্ষতিপূরণ পাবেন না শিল্পীরা

জার্মানির আদালতের রায়

প্রকাশ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
করোনা মহামারির সময় জারি করা লকডাউনের কারণে শো বাতিল হওয়ায় মিউজিশিয়ান বা সঙ্গীতজ্ঞদের কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না বলে রায় দিয়েছেন জার্মানির সর্বোচ্চ বেসামরিক আদালত এবং সরকারকে এজন্য কোনো টাকা পরিশোধ করতে হবে না বলেও রায়ে উলেস্নখ করা হয়েছে। জার্মানির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বাভারিয়া প্রদেশের ব্যান্ড শিল্পী মার্টিন কিলগারের আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত এই রায় দেয়। কিলগার একটি মিউজিক ও ফিল্ম প্রোডাকশন কোম্পানিরও মালিক। তিনি দাবি করেন, করোনা লকডাউনের কারণে জার্মানির দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর বাডেন-ভু্যর্টেমবার্গে তার অন্তত পাঁচটি কনসার্ট বাতিল হয়ে যায়। নিজের ও জার্মানির অন্য সব শিল্পীদের পক্ষে ক্ষতিপূরণ দাবি করে আদালতের শরণাপন্ন হন তিনি। কিলগার ২০২০ সালের মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত বাতিল হওয়া এসব শো-র জন্য তিনি সরকারের কাছে ৮ হাজার ৩০০ ইউরো দাবি করেন। লকডাউনের সময় জার্মানির কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারগুলো নাগরিকদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সর্বোচ্চ ৯ হাজার ইউরো পর্যন্ত সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আর বাভারিয়ার প্রাদেশিক সরকার ব্যক্তি পর্যায়ে ৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার ইউরো পর্যন্তও সহায়তা করেছে। জার্মানির সর্বোচ্চ বেসামরিক আদালত কিলগারের মামলার রায় ঘোষণা করেছে। করোনা মহামারির সময় সরকারের আরোপ করা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা বিধিনিষেধ জীবনযাত্রাকে কঠিন করেছিল বলে নিম্ন আদালতগুলো যে রায় দেয়, তা স্থগিত করে উচ্চ আদালতের বিচারক উলরিখ হেরমান বলেন, ওই সময় কড়াকড়ি আরোপ ছাড়া সরকারের আর কোনো উপায় ছিল না। কোনো ওষুধ ছিল না, টিকা ছিল না। মানুষের প্রাণ বাঁচাতেই সরকার লকডাউনের মতো কড়াকড়ি আরোপ করে এবং তা যথাযথ ছিল। তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য খাতের ওপর অতিরিক্ত চাপ এড়াতেই সরকার লকডাউন দেয়। রায়ের পর কিলগার তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই রায়ে সংস্কৃতির প্রাণ ও স্বাস্থ্য রক্ষা করা হলো না।