দেনমোহরের মামলা ও তামাদি আইন

প্রকাশ | ১২ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
স্ত্রী তার দেনমোহরের অর্থ না পেলে সে এবং তার মৃতু্যর পর উত্তরাধিকারীরা, তার জন্য মামলা দায়ের করতে পারে তাৎক্ষণিক দেনমোহর আদায়ের মামলা দায়ের করার সময়সীমা হলো দেনমোহরটি দাবি ও তা প্রদানে অস্বীকৃতির তারিখ থেকে তিন বছর, অথবা যেখানে বিবাহ থাকাকালে এ জাতীয় কোনো দাবিই উপস্থাপিত হয় নাই, সেখানে মৃতু্য কিংবা তালাকের ফলে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটলে, তখন পর্যন্ত ১৯০৮ সালের তামাদি আইন, তফসিল-১, অনুচ্ছেদ-১০৩ 'বিলম্বিত' দেনমোহরটি আদায়ের সময় সীমা হলো মৃতু্য অথবা তালাকের ফলে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটলে ওই তারিখ থেকে তিন বছর [তফসিল-১, অনুচ্ছেদ-১০৪]। স্ত্রী লিখিতভাবে তালাকপ্রাপ্ত হলে, তামাদি আইনের ১০৩ ও ১০৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্ত্রীকে ওই লিখিত তালাক দানের তথ্য বা সংবাদটি অবগত করার তারিখ থেকেই তামাদির সময় শুরু হবে আদায়ের দাবিতে মামলা দায়ের করার অধিকার স্ত্রী রয়েছে। উলেস্নখ্য, যদি স্বামীর আগে স্ত্রীর মৃতু্য হয় এবং স্ত্রীর দেনমোহর পরিশোধিত না হয়ে থাকে তাহলে স্ত্রীর উত্তরাধিকারীরা ওই দেনমোহর পাওয়ার অধিকারী। ফলে স্ত্রীর উত্তরাধিকারীরা দেনমোহর পাওয়ার জন্য আদালতে মামলা করতে পারবেন। কেননা ইসলামী আইনে দেনমোহরকে দেনা বলে বিবেচনা করা হয়। দেনমোহরের পরিমাণ যত বেশি হোক না কেন, পক্ষগুলোর মধ্যে স্বীকৃত হলে স্বামী তা সম্পূর্ণরূপে স্ত্রীকে পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবে। এমনকি স্বামীর আর্থিক সঙ্গতি না থাকলেও আদালত দেনমোহরানার দায় থেকে স্বামীকে মুক্তি দেবে না। বিবাহ কেবল ইসলামে নয় সমগ্র মানব সভ্যতার জন্য আশীর্বাদস্বরূপ গুরুত্বপূর্ণ একটু বিষয়। একজন নারী ও পুরুষের মধ্যে সম্পাদিত সবচেয়ে জীবন ঘনিষ্ঠ একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি যার একই সঙ্গে একটি আধ্যাত্মিক এবং একটি বস্তুবাদী দিক রয়েছে। আলস্নাহতায়ালা কোরআনে ইরশাদ করেন, 'তার নিদর্শনগুলোর মধ্যে একটি এই যে, তিনি তোমাদের মধ্যে থেকেই তোমাদের স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা তাদের পেয়ে পরিতৃপ্ত হও। তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক প্রেম-ভালোবাসা ও মমত্ববোধ সৃষ্টি করেছেন। এর মধ্যে চিন্তাশীল লোকদের জন্য অবশ্যই অনেক নিদর্শন রয়েছে।' [সূরা আর-রুম, আয়াতঃ ২১]