আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে যুদ্ধাপরাধীরাও জার্মানিতে এসেছে

প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
বিভিন্ন দেশের কয়েক হাজার যুদ্ধাপরাধী জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছে কিনা এমন প্রশ্ন উঠেছে। শরণার্থী সংকটের জের ধরে আশ্রয়প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ তথ্য যাচাই করেনি, বলে দাবি করেছে জার্মানির একটি সংবাদপত্র। কয়েক হাজার তথ্যপ্রমাণ বলছে, গেল বছরগুলোতে বিভিন্ন দেশের হাজারও যুদ্ধাপরাধী জার্মানিতে আশ্রয় চেয়েছে, যাদের বিষয়ে কোনো ধরনের তদন্ত করেনি দেশটির সরকার। এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জার্মানির জনপ্রিয় দৈনিক 'বিল্ড'। সংবাদপত্রটি বলছে, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের শুরু পর্যন্ত আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় এমন পাঁচ হাজারটি মামলা পেয়েছে ফেডারেল অফিস ফর মাইগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি বা বাম্ফ। তারা সেগুলো ফেডারেল ক্রিমিনাল পুলিশ অফিস ও অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে পাঠায়। এর মধ্যে মাত্র ১২৯টি তদন্ত করে দেখা হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানান, সংখ্যাটি বড় হওয়ায় প্রতিটি তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত করা সম্ভব হয়নি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে ২০১৬ সালে সবচেয়ে বেশি ৩,৮০০টি তথ্য খতিয়ে দেখার জন্য পাঠায় বাম্ফ, যার মধ্যে মাত্র ২৮টি তদন্ত করা হয়। সিরিয়ায় ভয়াবহ সংকটের কারণে ২০১৫ সালে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সে সময় মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও আফ্রিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত ও দারিদ্যপীড়িত অঞ্চল থেকেও অনেকে পালিয়ে এসেছেন। তবে এরপর অবশ্য শরণার্থী আসার সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে যায়।