মানবাধিকার

মৃতু্যদন্ড কার্যকরের সংখ্যা এক দশকে সর্বনিম্ন

প্রকাশ | ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বব্যাপী মৃতু্যদন্ড কার্যকর করার সংখ্যা গত বছরের তুলনায় কমেছে বলে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সম্প্রতি প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, ২০১৭ সালের তুলনায় মৃতু্যদন্ড কার্যকরের হার গতবছর ৩১ ভাগ কমেছে। বিশ্বের ২০টি দেশের তথ্য সংবলিত প্রতিবেদন বলছে, ২০১৮ সালে ওই দেশগুলোতে মৃতু্যদন্ড কার্যকরের সংখ্যা ছিল ৬৯০, যা ২০১৭ সালে ছিল কমপক্ষে ৯৯৩টি। শুধু তাই নয়- ২০১৮ সালে মৃতু্যদন্ড কার্যকরের সংখ্যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন বলে জানিয়েছেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আইনজীবী চিয়ারা সানগিওরগিও। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি বলছে, চীনে মৃতু্যদন্ড কার্যকরের নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা সম্ভব না হলেও দেশটিতেই সবচেয়ে বেশি মৃতু্যদন্ড কার্যকর হয়েছে। অ্যামনেস্টি বলছে, ২০১৮ সালে কার্যকর হওয়া ৬৯০টি মৃতু্যদন্ডের ৭৮ ভাগ ঘটেছে ইরান, সৌদি আরব, ভিয়েতনাম ও ইরাকে। এদিকে, যে দেশগুলোতে মৃতু্যদন্ড কার্যকর করার হার লক্ষণীয় মাত্রায় কমেছে সেগুলো হলো ইরান, ইরাক, পাকিস্তান ও সোমালিয়া। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ২০১৭ সালে ইরানে মোট মৃতু্যদন্ড কার্যকর করার সংখ্যা ছিল ৫০৭, যা ২০১৮ সালে ৫০ ভাগ কমে ২৫৩-তে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে ইরাকে মৃতু্যদন্ড কার্যকরের হার কমেছে শতকরা ৫০ ভাগের বেশি, পাকিস্তানে কমেছে শতকরা ৭৫ ভাগ ও সোমালিয়ায় কমেছে প্রায় শতকরা ৫০ ভাগ। ২০১৮ সালের পরিসংখ্যানে সংস্থাটি বাহরাইন, বাংলাদেশ, জর্ডান, কুয়েত, মালয়েশিয়া, ফিলিস্তিন ও আরব আমিরাতকে যুক্ত করতে পারেনি, যদিও ২০১৭ সালে তারা এ দেশগুলোতে মৃতু্যদন্ড কার্যকরবিষয়ক তথ্য প্রকাশ করেছিল। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, বতসোয়ানা, সুদান, তাইওয়ান ও থাইল্যান্ড গত বছর মৃতু্যদন্ড কার্যকরের বিধান আবারও চালু করেছে। মৃতু্যদন্ডের বিধান বাতিলের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বব্যাপী সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে আসছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। গত ডিসেম্বরে মৃতু্যদন্ড স্থগিতবিষয়ক এক প্রস্তাবে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১২১টি সদস্যরাষ্ট্র সম্মতিসূচক ভোট প্রদান করে। ৩৫টি দেশ এ বিষয়ক প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে আর ৩২টি দেশ এ বিষয়ে ভোট দানে বিরত থেকেছে। তবে পুরো বিষয়টিকে মৃতু্যদন্ড বাতিলবিষয়ক প্রচারণার সফলতা হিসেবে দেখছে এটি। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আইনজীবী সানগিওরগিও বলেন, প্রতিবেদনটির মূল বার্তা হচ্ছে বিশ্বব্যাপী মৃতু্যদন্ড কার্যকরের সংখ্যা কমে আসছে। ইন্টারনেট অবলম্বনে