সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ২৪ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
স্ত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রিতে স্বামীর যাবজ্জীবন আইন ও বিচার ডেস্ক সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে ভারতে পাচার করে পতিতালয়ে বিক্রির দায়ে স্বামী ও তার সহযোগীকে যাবজ্জীবন কারাদÐ দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে তাদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদÐ দেয়া হয়েছে। ১১ জুলাই দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নিযার্তন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের বালুইগাছা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে তঞ্জুরুল ইসলাম বাবু ও আমের আলী সরদারের ছেলে শওকত হোসেন। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন মামলার অপর তিন আসামি। মামলার বিবরণে জানা যায়, তঞ্জুরুল ইসলাম বাবু তার স্ত্রীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ২০০৫ সালের ২৫ আগস্ট এক লাখ টাকার বিনিময়ে স্থানীয় শওকত হোসেন, ম²ী রানী সুন্দরী ওরফে ময়না, আব্দুল গফুর ও সাগর মাতব্বরের সহযোগিতায় ভারতের একটি পতিতালয়ে বিক্রি করে দেন। পরে তিনি পালিয়ে দেশে ফিরে আসেন। এ ঘটনায় মেয়েটির খালু আশাশুনি উপজেলার বড়দলের মৃত মোহাম্মদ গাজীর ছেলে আতিয়ার রহমান গাজী বাদী হয়ে থানায় উল্লিখিত পঁাচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও নথি পযাের্লাচনা করে তঞ্জুরুল ইসলাম বাবু ও শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বুধবার এ রায় দেয় আদালত। প্রকৃতিবিরুদ্ধ যৌনতায় স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা আইন ও বিচার ডেস্ক প্রাকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে যৌনসম্পকর্ করার অভিযোগ এনে নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে দ্রæত বিচারের আবেদন করেছেন এক নারী। চার বছরের সংসার জীবনে ‘জোর’ করে ‘মৌখিক যৌনতায়’ অতীষ্ঠ হয়ে সুপ্রিম কোটের্র দ্বারস্থ হলেন ওই গৃহবধূ। ১৯ জুলাই দুপুরে ভারতের গুজরাট হাইকোটের্ পিনাল কোডের ৩৭৭ ধারার একটি মামলা দায়ের করেন ওই নারী। মামলার বিষয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে জোরপূবর্ক ওরাল সেক্স ও নিজেদের সংসগের্র ভিডিও ধারণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন তিনি। তার আইনজীবী অপণার্ ভাট পিটিশনটি দাখিল করেন। এরপর আদালতের বিচারপতি এনভি রামনা এবং এমএম শান্তনাগৌদার এই মামলায় অভিযুক্ত স্বামীকে নোটিশ পাঠিয়েছেন। ওই নারীর অভিযোগ, ২০১৪ সালে বিয়ের পর থেকেই তার ডাক্তার স্বামী তাকে মৌখিক যৌনতায় জোর করতেন। তিনি এ ব্যাপারে কয়েকবার নিষেধ করার পরও কথা শোনেননি তার স্বামী। এমনকি তাদের শারীরিক সংসগর্ ক্যামেরাবন্দিও করে রাখতেন অভিযুক্ত ডাক্তার। ওই গৃহবধূর আইনজীবী অপণার্ ভাট জানিয়েছেন, স্ত্রীর আপত্তির কারণ ঠিকভাবে বুঝতেই পারতেন না স্বামী। প্রকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে যৌন সম্পকর্ করার পাশাপাশি তাদের যৌন মুহূতর্ ক্যামেরাবন্দিও করে রাখতেন। আর এতে মহিলা আপত্তি জানালে বা বাধা দিলে স্বামী তার ওপর জোর খাটাতেন এবং মহিলা বাধ্য হতেন স্বামীর ইচ্ছানুযায়ী যৌনতায় লিপ্ত হতে। তবে ওই নারীর করা মামলাটিকে অপ্রাসঙ্গিক বলে খারিজের দাবি জানিয়েছেন তার স্বামী। গুজরাট হাইকোটর্ জানিয়েছেন, ৩৭৫ ধারায় ‘বৈবাহিক ধষর্ণ’-এর কোনো সংস্থান নেই। তবে ৩৭৭ ধারায় এর বিচার হওয়া উচিত বলে রায় দেয় হাইকোটর্। আইরিশ ওষুধ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা আইন ও বিচার ডেস্ক চুয়াডাঙ্গায় চক্ষুশিবিরে চিকিৎসা নিতে এসে ২০ জনের চোখ হারানোর ঘটনায় ওষুধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আইরিশ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিষয়টি জানার পর ওষুধ প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে হাইকোটর্ বিভাগ বলেছে, এই কোম্পানির বিরুদ্ধে যদি আগেই ব্যবস্থা নেয়া হতো তাহলে এত ক্ষতি হতো না। বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোটর্ বিভাগের বেঞ্চকে ১৯ জুলাই রাষ্ট্রপক্ষ মামলা করার বিষয়টি জানায়। পরে আদালত বিষয়টির শুনানি আগামী ২৬ জুলাই পযর্ন্ত মুলতবি করেছে। প্রসঙ্গত, গত ২৯ মাচর্ একটি জাতীয় দৈনিকে ‘চক্ষু শিবিরে গিয়ে চোখ হারালেন ২০ জন!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, চুয়াডাঙ্গার ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে তিনদিনের চক্ষু শিবিরের দ্বিতীয় দিন (৫ মাচর্) ২৪ জন নারী-পুরুষের চোখের ছানি অপারেশন করা হয়। অপারেশনের দায়িত্বে ছিলেন চিকিৎসক মোহাম্মদ শাহীন। এদের মধ্যে চারজন রোগী নিজেদের উদ্যোগে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রæত স্বজনদের নিয়ে ঢাকায় আসেন। পরে ইম্প্যাক্টের পক্ষ থেকে ১২ মাচর্ একসঙ্গে ১৬ জন রোগীকে ঢাকায় নেয়া হয়। ততদিনে অনেক দেরি হয়ে যায়। ৫ মাচের্র ওই অপারেশনের ফলে এদের চোখের এত ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে যে, ১৯ জনের একটি করে চোখ তুলে ফেলতে হয়। আর বাকি একজন অন্য জায়গায় চিকিৎসা নিতে থাকেন। পরে আইনজীবী অমিত দাসগুপ্ত প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করে হাইকোটর্ বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় গত ১ এপ্রিল রিট দায়ের করেন। রিটের শুনানি নিয়ে চোখ হারানো ২০ জনের প্রত্যেককে এক কোটি টাকা করে কেন ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোটর্ বিভাগ।