সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ১৪ মে ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সহায়তার ১৮৮০ কারাবন্দির জামিন য় আইন ও বিচার ডেস্ক ঢাকা জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত সর্বমোট ৫৭৫৬ জন গবির-দুঃখী, অসহায় ও নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার পেতে অসমর্থ্য ব্যক্তিকে আইনজীবীর মাধ্যমে সরকারি খরচে লিগ্যাল এইড পরিসেবা প্রদান করেছে। যা বাংলাদেশের সব লিগ্যাল এইড কমিটির মধ্যে সর্বোচ্চ। যার মধ্যে ৬২৪ জন নারী, ৫০৯৯ জন পুরুষ ও ৩৩ জন শিশু রয়েছেন। উলিস্নখিত সময়ের মধ্যে লিগ্যাল এইডের ২৭১৫টি মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হয়েছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত ঢাকা জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের সহায়তায় মোট ১৮৮০ জন কারাবন্দি জামিন প্রাপ্ত হয়েছেন, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত ঢাকা জেলা লিগ্যাল এইড অফিস মোট ৩০১টি বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং এর মাধ্যমে নগদ মোট ৪৫,৫৬,০০০/- (পয়তালিস্নশ লক্ষ ছাপ্পান্নো হাজার) টাকা আদায় করে ভুক্তভোগী পক্ষকে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিউইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত জার্মান-রুশ তরুণী য় আইন ও বিচার ডেস্ক প্রতারণা ও চুরির অপরাধে অভিযুক্ত আঠাশ বছরের জার্মান-রুশ তরুণী আনা সোরোকিন। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি আদালতে তিনি অভিযুক্ত হন। সবাই জানত, তিনি ৬০ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী। কিন্তু বাস্তবে সব মিথ্যে। আসলে সাধারণ এক ট্রাকচালকের কন্যা আনা সোরোকিন। কিন্তু 'মিলিয়নেয়ার' হওয়ার এই নাটক চালিয়ে যেতে তিনি 'ডেলভি' পদবির আশ্রয় নেন। সবাইকে বলেন, তার রয়েছে প্রায় ৬০ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের উত্তরাধিকার সম্পত্তি। ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে তিনি ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চান। কিন্তু সেই ঋণ অনুমোদিত না হওয়ায় পর আরেক পরিচিতের কাছ থেকে এক লক্ষ মার্কিন ডলার ধার নেন তিনি। এই টাকাও কখনো শোধ করেননি আনা। আনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই 'আনা ডেলভি' নামে তিনি বন্ধু-বান্ধব ও বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিশাল অঙ্কের টাকা ধার করেন। আসল পরিচয় লুকিয়ে নিজেকে তুলে ধরেন জার্মানিতে বিপুল অর্থের অধিকারী হিসেবে। আগামী ৯ মে তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে সাজার পরিমাণ জানানো হবে। আনার আইনজীবী টড স্পোডেক জানান, প্রমাণিত অভিযোগের ভিত্তিতে ৫ থেকে ১৫ বছরের কারাদন্ড পেতে পারেন তিনি। প্রতারণা ও চুরি ছাড়াও আনার ওপর রয়েছে মার্কিন ভিসার মেয়াদ পেরোনোর পরও সেখানে থেকে যাওয়ার অভিযোগ। ফলে, তাকে জার্মানিতে ফেরত পাঠিয়ে সেখানে বিচারকার্য সম্পন্ন করার সম্ভাবনাও রয়ে যাচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য টিয়া পাখি থানায় য় আইন ও বিচার ডেস্ক এক মাদক পাচারকারীকে ধরতে বাসায় অভিযান চালাতে গিয়েছিল পুলিশ। হঠাৎ বাসায় থাকা টিয়া পাখিটি চিৎকার করে বলে ওঠে, 'মা, পুলিশ এসেছে'। আর এই অপরাধে পাখিটিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়েছে পুলিশ! এই ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাজিলে। ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে জানা গেছে, কথিত দুজন কোকেন পাচারকারীকে ধরতে একটি একতলা বাসায় অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। বাসায় পুলিশ সদস্যরা ঢোকামাত্রই সেখানে থাকা একটি টিয়া পাখি মা, পুলিশ এসেছে বলে বারবার চিৎকার করতে থাকে। এতে পুলিশের সন্দেহ হয় যে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পেরে জেনে আগে থেকেই পাখিটিকে প্রশিক্ষণ দিয়ে রেখেছিল অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। আর এ কারণেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাখিটিকে আটক করে পুলিশ। পাখিটির উদ্দেশ্য অবশ্য সফল হয়নি। মাদক পাচারকারী দুই ব্যক্তিকে ঠিকই আটক করেছে পুলিশ। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে পাখিটিকে থানায় নিয়েছিল পুলিশ, তাও সফল হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদে হাজার চেষ্টা করেও পাখিটির মুখ থেকে আর একটি শব্দও বের করা যায়নি। ব্রাজিলের স্থানীয় চ্যানেলগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, টিয়া পাখিটিকে স্থানীয় একটি চিড়িয়াখানায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। মাদক পাচারকারীদের সহায়তার অভিযোগে টিয়া পাখিকে অভিযুক্ত করার ঘটনা অবশ্য এটাই প্রথম নয়। ২০১০ সালে কলম্বিয়াতে লরেঞ্জো নামের একটি টিয়া পাখি পুলিশকে আসতে দেখে তার মালিককে 'পালাও, পালাও' বলে সতর্ক করে দিয়েছিল। পরে ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তির কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছিল পুলিশ।