নারী-নির্যাতন মামলা

ট্র্রাইবু্যনালের 'আমলি-ক্ষমতা' ফিরিয়ে দেয়া জরুরি

প্রকাশ | ২৮ মে ২০১৯, ০০:০০

সোহেল রানা
নারী বা শিশুদের ওপর সংঘটিত অপরাধের বিচার বিষয়ে 'দ্য ক্রুয়েলটি টু উইমেন (ডেটারেন্ট পানিশমেন্ট) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৩' এবং 'নারী ও শিশু নির্যাতন (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯৫'-এর ধারাবাহিক বিবর্তনের ফসল হিসাবে প্রণীত বিদ্যমান 'নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০' এর অধীনে দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনাল গঠিত হয়েছে যেখানে কমবেশি ১২ ধরনের অপরাধের বিচার হয়। এ মুহূর্তে সারা দেশে ওইরকম ট্রাইবু্যনাল সংখ্যা প্রায় ৯৫টি। বর্ণিত অপরাধগুলোর দ্রম্নত বিচারের প্রয়াস হিসেবে আইনটি প্রণীত হলেও বাস্তবে ট্রাইবু্যনালের সাফল্য অর্থাৎ মামলা প্রমাণের হার কিন্তু আশানুরূপ নয়। এর জন্য যেসব বিষয়গুলো দায়ী তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নারী-শিশু নির্যাতন মামলায় পুলিশের দায়িত্ব ও ক্ষমতার আধিক্য। এতে শুধু যে ট্রাইবু্যনালের ভাবমূর্তিই সংকটে পড়েছে তা-ই নয়, ট্রাইবু্যনালে এসে বিচার 'চাওয়ার' জন্যই ভিকটিমপক্ষকে অপরিসীম হয়রানি বা ভোগান্তিরও শিকার হতে হচ্ছে। সাধারণ নিয়মে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে অভিযোগকারী থানায় পুলিশি-মামলা কিংবা আদালতে গিয়ে নালিশি-মামলা দায়ের করতে পারেন। নালিশি-মামলার ক্ষেত্রে আদালত অভিযোগ সরাসরি নাকচ কিংবা আমলে নিতে (অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ, অর্থাৎ অভিযোগকৃত ঘটনার ভিত্তিতে কাউকে আসামি গণ্য করে তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে বাধ্য করা) পারেন কিংবা প্রয়োজন মনে করলে এর আগে উপযুক্ত কাউকে দিয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান বা তদন্তও করিয়ে নিতে পারেন; এমনকি ক্ষেত্রমতে নালিশটিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশও দিতে পারেন। নালিশের ভিত্তিতে সরাসরি অপরাধ আমলে নেয়ার ওইরূপ ক্ষমতা বিশেষায়িত দায়রা আদালত হিসাবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনালেরও ছিল। কিন্তু ২০০৩ সালে আইনটিতে বড় ধরনের সংশোধনী এনে ট্রাইবু্যনালের সেরূপ আমলি-ক্ষমতা খর্ব করা হয়। এখন আইনটিতে বর্ণিত কোনো অপরাধমূলক কার্যের ফলে মামলা করতে চাইলে বাধ্যতামূলকভাবেই যেতে হবে থানায়, সরাসরি আদালত বা ট্রাইবু্যনালে আসা যাবে না। থানা-পুলিশকে কাকুতি-মিনতি ও দেন-দরবার (আইনে ব্যবহৃত 'অনুরোধ' শব্দটির পুলিশি-চর্চা বাস্তবে এমনটিই হয়) করে সন্তুষ্ট করতে পারলে মামলা রজ্জু হবে, না হয় ভিকটিমপক্ষকে ফরিয়াদি হয়ে ট্রাইবু্যনালের দ্বারস্ত হতে হবে। কিন্তু ট্রাইবু্যনালে আসার পরই শুরু হয় তার হয়রানির দ্বিতীয় ও দীর্ঘমেয়াদি পর্ব। ট্রাইবু্যনালে নালিশি-মামলা দায়ের করতে হলে ফরিয়াদিকে নালিশের সঙ্গে এরূপ মর্মে হলফনামাও দিতে হবে যে, তিনি থানায় গিয়েও মামলা রজ্জু করাতে সক্ষম হননি। ফরিয়াদিকে শুনানি করে ট্রাইবু্যনাল যদি দাবিকৃত বিষয়ে 'সন্তুষ্ট' (এ ক্ষেত্রে ট্রাইবু্যনালের সন্তুষ্টি ঠিক কীসের ওপর, অর্থাৎ থানায় গিয়েও মামলা করতে ব্যর্থ হওয়া নাকি অপরাধমূলক ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা; তা আইনটিতে স্পষ্ট নয়) না হন তাহলে অভিযোগ ওইখানেই নাকচ করে দেবেন। কিন্তু সন্তুষ্ট হতে পারলে কিন্তু অভিযোগ আমলে নিতে পারবেন না, অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট বা উপযুক্ত কাউকে দিয়ে অনুসন্ধান করিয়ে নিতে হবে। অনুসন্ধানে পাঠানোর আদেশ হওয়ার পর ভিকটিমপক্ষকে সাক্ষীসাবুদ নিয়ে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা বা ব্যক্তির নিকট এক বা একাধিক দিন হাজির হতে হবে, তিনি ভিকটিম ও তার সাক্ষীদের বক্তব্য শ্রবণ ও রেকর্ড করার পর অনুসন্ধান-প্রতিবেদন প্রস্তুতপূর্বক ট্রাইবু্যনালে প্রেরণ করবেন। এভাবে প্রাপ্ত প্রতিবেদনে যদি দুটি বিষয়েরই সত্যতা থাকে (ভিকটিমপক্ষ থানায় গিয়েও মামলা করতে ব্যর্থ হয়েছেন; এবং অপরাধমূলক ঘটনার পক্ষে প্রাথমিক সাক্ষ্য-প্রমাণ রয়েছে) তাহলে সেটির ভিত্তিতে ট্রাইবু্যনাল অভিযোগ আমলে নেবে; তা না থাকলে নালিশটি নাকচ করে দেবে অর্থাৎ কোর্ট-কাচারির বারান্দায় দৌড়াদৌড়ি এবং শারীরিক-মানসিক-আর্থিক-সামাজিক হয়রানি পোহায়েও ভিকটিমপক্ষের আর মামলা করা হলো না! অর্থাৎ নারী-শিশু নির্যাতনের ঘটনায় ভিকটিমপক্ষকে যেমন বিচার পাওয়ার আগেই 'অযথা ও ক্ষতিকর' বেশকিছু হয়রানি পোহাবার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে তেমনি একজন 'জেলা/দায়রা জজ' কর্তৃক চালিত ট্রাইবু্যনালের সহজাত ক্ষমতার সঙ্গেও 'খেলো' আচরণ করা হচ্ছে। নালিশ দাখিল করার পর ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে ট্রাইবু্যনাল সন্তুষ্ট হয়ে গেলে সেটি আবার অধস্তন বা কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কারও কর্তৃক অনুসন্ধানে পাঠানোর বাধ্যবাধকতা খেলো আচরণেরই সামিল। প্রাথমিকভাবে নিজে সন্তুষ্ট হয়েও অন্য কর্তৃক অনুসন্ধান না করিয়ে যদি অভিযোগ আমলে নেয়ার ক্ষমতা ট্রাইবু্যনালের না-ই থাকে তাহলে অসন্তুষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গেই (অনুসন্ধানে না পাঠিয়েই) অভিযোগ নাকচ করে দিতে ট্রাইবু্যনাল বাধ্য থাকবে কেন? অনুসন্ধান-কার্য যদি আবশ্যিকভাবে করাতেই হয় তাহলে দুটির জন্যই (অভিযোগ নাকচ বা আমলে নেয়া) তা হওয়া উচিত। সবচেয়ে ভালো হয় এ বিষয়টি বাধ্যতামূলক না করা; কারণ কেউ নালিশ নিয়ে ট্রাইবু্যনালে হাজির হলে ট্রাইবু্যনালই ঠিক করবেন অভিযোগের সত্যতা বিষয়ে নিঃসন্দেহ হওয়ার জন্য অনুসন্ধান বা তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে কিনা। তা ছাড়া একটু আগেই যেমনটি বলা হয়েছে, অভিযোগ অনুসন্ধানে পাঠানো হলে ভিকটিমপক্ষকে সাক্ষীসাবুদ নিয়ে অনুসন্ধানকারীর নিকট এক বা একাধিক দিন হাজির হতে হয় (অজ্ঞতার দরুণ অনেক অনুসন্ধানকারী বিপক্ষের বক্তব্যও শ্রবণ বা রেকর্ড করেন, কিন্তু অনুসন্ধান-কার্যে অপরপক্ষের বক্তব্য শ্রবণ বেআইনি)। এই কাজটি অপরিসীম কষ্ট ও হয়রানির তো বটেই, এসব করতে গিয়ে যে সময়টি পার হয়ে যায় তাতে অভিযোগকৃত ঘটনার অনেক আলামত বা প্রমাণও নষ্ট কিংবা হালকা হয়ে যায় এবং শেষে সুবিচার পাওয়ার মানসিক ধৈর্য বা আকাঙ্ক্ষাও ভিকটিম বা তার পরিবারের আর অবশিষ্ট থাকে না। সবচেয়ে পরিহাসের বিষয়টি হচ্ছে এই, অনেক শ্রম ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত অনুসন্ধান-প্রতিবেদনটি যদি 'সত্য' হিসেবে আসেও, তাহলেও তার ভিত্তিতে কিন্তু বিচারকার্য সম্পন্ন হয় না; ট্রাইবু্যনালে অনুষ্ঠিত হওয়া পরিপূর্ণ বিচারের সময় ফরিয়াদিকে ঠিকই আবার সাক্ষীদের উপস্থাপন করতে হয়! পদ্ধতিগত কারণেই এটা সত্য যে, মিথ্যা বা অতিরঞ্জিত মামলা করার সুযোগ থানার চেয়ে আদালতে বেশি থাকে এবং ঘটনার আলামত বা সাক্ষ্যাদি সংগ্রহের সুযোগও পুলিশি-মামলায় বেশি পাওয়া যায়। আইনে সংশোধনী এনে ট্রাইবু্যনালের আমলি-ক্ষমতা খর্ব করে ফেলার যুক্তি হয়তো এটিই ছিল যে, তাতে ট্রাইবু্যনালে মিথ্যা মামলা থাকবে না। কিন্তু সর্বশেষ বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন, এখন ট্রাইবু্যনালগুলোতে মিথ্যা বা অতিরঞ্জিত মামলার সংখ্যা বেশি বৈ কম নয়। থানা-পুলিশের আচরণ সম্পর্কে এরূপ জনবিশ্বাস অনেক আগে থেকেই প্রচলিত রয়েছে যে, অভিযোগকৃত ঘটনা সত্যমিথ্যা যা-ই হোক, এজাহার রেকর্ড করানো কিংবা চার্জশিট পেতে হলে পুলিশকে আর্থিকভাবে সন্তুষ্ট করতেই হবে; তা করতে পারলে মিথ্যা মামলায়ও চার্জশিট দেয়ানো অসম্ভব কিছু নয়। এরূপ জনশ্রম্নতির যদি কিঞ্চিৎ সত্যতাও থেকে থাকে তাহলে নারী নির্যাতন মামলা এর বাইরে থাকবে তা ভাবার কোনো কারণ নেই। আর এটা তো অনেকেরই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, এজাহারকারীর কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা পাওয়া বা চাওয়ার সুযোগ না থাকলে এজাহারের বক্তব্য 'সঠিক হয়নি' মর্মে অজুহাতে থানা মামলা নিতে গড়িমসি করবে; লিখিত এজাহার নিয়ে থানায় গেলে মামলা সুদৃঢ় করার নামে এজাহারের বক্তব্যে সংশোধন বা পরিবর্তনের পরামর্শ দেবে বা থানা কর্তৃপক্ষ নিজেরাই সেরূপ করিয়ে নেবে! কিন্তু এর ফলে অনেক সময়ই মামলা সুদৃঢ় না হয়ে উল্টো দুর্বল হয়ে যায়, যার সুযোগে তদন্তকারী-কর্মকর্তা চাইলে সত্য ঘটনায়ও চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে কিংবা বিচারের সময় আসামি যাতে অন্যায্য সুবিধা পায় তার আগাম ব্যবস্থা করে রাখতে পারেন। একটি পুলিশি-মামলায় এজাহার-গ্রহণ থেকে শুরু করে সাক্ষ্য-উপস্থাপন পর্যন্ত প্রতিটি স্তরেই পুলিশের এমনকিছু করার (ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়) সুযোগ বা ক্ষেত্র রয়েছে যার দরুণ সত্য মামলায়ও আসামিকে খালাস দিতে আদালত বা ট্রাইবু্যনাল বাধ্য হয়। এসব অন্যায় যে সবসময়ই পুলিশ ইচ্ছা করেই করে বা সব থানায়ই তা হয়, তা কিন্তু নয়। তা সত্ত্বেও আইনি-কাঠামোটা এমন হওয়া উচিত যাতে ক্ষতিগ্রস্ত কেউ চাইলে পুলিশকে এড়িয়েও বিচার চাইতে পারেন। কিন্তু বিদ্যমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনটিতে নানান পূর্বশর্ত ও আনুষ্ঠানিকতা যুক্ত করার কারণে নির্যাতনের ভিকটিম হয়েও থানা-পুলিশকে এড়ানো কিংবা ট্রাইবু্যনালের দ্বারস্ত হওয়া কষ্টসাধ্য বা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবং বিপরীতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে থানা-পুলিশকে সর্বেসর্বা বানিয়ে রাখা হয়েছে। এটা অনস্বীকার্য যে, বর্তমানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনালগুলোতে মিথ্যা বা অতিরঞ্জিত মামলার ছড়াছড়ি এবং এগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই যে নালিশা-মামলা তা কিন্তু নয়। বরং খালাসরূপে নিষ্পত্তি হওয়া মামলাগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যে, এগুলোর বেশির ভাগই থানায় দায়ের করা। আর বর্তমানে দেশের ট্রাইবু্যনালগুলোতে নারী-শিশু নির্যাতন মামলার সংখ্যা অত্যাধিক হলেও সফল মামলার অনুপাত যে খুবই নগণ্য, তার পিছনে অন্যতম প্রধান কারণ কিন্তু এটিই যে, দায়ের করার সময়ই অধিকাংশ মামলার অভিযোগ থাকে মিথ্যা কিংবা অতিরঞ্জিত কিংবা পুলিশ কর্তৃক সম্পন্ন করা তদন্তকার্য ও সাক্ষী উপস্থাপনেও থেকে যায় মারাত্মক ত্রম্নটি। ফলে এ প্রশ্ন তো খুবই সঙ্গত যে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনালের আমলি-ক্ষমতা খর্ব করে এবং সেসব মামলায় পুলিশকে অত্যাধিক দায়িত্ব ও ক্ষমতার মাধ্যমে 'সর্বেসর্বা' বানিয়ে লাভটা হলো কীসে? যেহেতু এটা অনিবার্য বাস্তবতা যে, মামলা পুলিশি হলেও সেটির সাফল্য নিশ্চিত নয় (ঘটনা সত্য হলেও), সেহেতু নারী-শিশু মামলার ক্ষেত্রে থানা-পুলিশকে সর্বেসর্বা বানিয়ে রাখার অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নারী-শিশু অপরাধের ভিকটিমপক্ষের সুযোগ ও স্বাধীনতা থাকা উচিত তার পছন্দমতো ফোরামে (থানা বা ট্রাইবু্যনাল) মামলা করার; ট্রাইবু্যনালে আসার আগে থানায় ঘুরে আসার বাধ্যবাধকতা বিলোপ করা এবং নালিশের ভিত্তিতে সরাসরি অভিযোগ আমলে নেয়ার ক্ষমতা ট্রাইবু্যনালকে ফিরিয়ে দেয়া জরুরি। নালিশের ভিত্তিতে একটি মামলা গ্রহণ করে ফেলার পরেও যদি ট্রাইবু্যনালের মনে হয় যে সেটিতে অতিরঞ্জন বা মিথ্যাচার রয়েছে, তাহলে আসামিকে জামিন-প্রদানের মাধ্যমেই এর তাৎক্ষণিক প্রতিকার দিতে পারেন; চূড়ান্ত প্রতিকারের সুযোগ তো বিচারান্তে রয়েছেই। কেউ যাতে মিথ্যা নারী-শিশু মামলা দায়ের না করেন তার জন্য আইনটিতেই (ধারা-১৭) বড় রক্ষাকবচ রয়েছে, এর বলে মিথ্যা ও অপ্রয়োজনীয় মামলার বাদী বা পরামর্শদাতাদের শাস্তিদানের সুযোগ রয়েছে। তবে মিথ্যা-মামলার আসামিপক্ষকে এর প্রতিকার নিতে হলে আলাদা নালিশি-মামলা করার বিদ্যমান বিধানটি সংশোধন করে মূল মামলার মাধ্যমেই তা করার সুযোগ দেয়া যেতে পারে যেরূপ বিচারিক হাকিমরা ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী চালিত অন্যান্য মামলায় এখন করছেন। লেখক : চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, কুমিলস্না। ইমেইল: ংৎধহধলড়@মসধরষ.পড়স