গর্ভপাতের অধিকার ফিরে পেতে রাস্তায় নারীরা

প্রকাশ | ২৮ মে ২০১৯, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
গর্ভপাত নিষিদ্ধের আইন পাস করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আটটি অঙ্গরাজ্য। সবশেষ সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আলাবামা। এই আইনের বিরোধীরা দেশটির সুপ্রিম কোর্টসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করে আইন পাস করছে। সম্প্রতি আলাবামা অঙ্গরাজ্যে সব ধরনের গর্ভপাত বাতিলের একটি বিল পাস হয়েছে। এমনকি ধর্ষণ এবং অজাচারেও গর্ভপাত করানো যাবে না। ওহাইয়ো, জর্জিয়াসহ কিছু রাজ্য গর্ভধারণের ছয় সপ্তাহ কিংবা ভ্রূণে হৃদস্পন্দন শনাক্ত হলে গর্ভপাত করানো যাবে না বলে নতুন আইনে উলেস্নখ করেছে। গর্ভপাত নিষিদ্ধকরণ আইন পাসের বিষয়টি রিপাবলিকানদের অন্যতম একটি এজেন্ডা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এর সমর্থক। কিন্তু আলাবামা যে আইন করেছে তা অতিরিক্ত কঠোর বলে মনে করছেন তিনিও। ধর্ষণ এবং অজাচারের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম না রাখা নিয়ে আপত্তি তারও। অঙ্গরাজ্যগুলোতে গর্ভপাত নিষিদ্ধের বিতর্কিত আইন বাতিলের দাবিতে মে মাসের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। এর আয়োজন করেছে ৫০টি সংগঠন। সবচেয়ে বড় জমায়েত হয়েছে ওয়াশিংটনে সুপ্রিম কোর্টের সামনে। নতুন আইন কারণে নারী তার শরীরের ওপর অধিকার হারাচ্ছে বলে মনে করেন আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভকালে এ নিয়ে বিভিন্ন স্স্নোগান লেখা পেস্নকার্ড তারা বহন করেছেন। এক নারীর হাতের পেস্নকার্ডটিতে লেখা ছিল 'শরীর আমার, সিদ্ধান্ত আমার, অধিকার আমার, বক্তব্য আমার।' এই আইনের বিরোধিতা করে আসছেন ডেমোক্রেট দলের নেতারা। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তাদের অনেককেই দেখা গেছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের সুযোগ হাতছাড়া করেননি দলটির আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের গর্ভপাত নিষিদ্ধ করা আইন বাতিলের দাবিতে অভিনব এক প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন অভিনেত্রী ও মি টু আন্দোলনের নেত্রী অ্যালিসা মিলানো। যার নাম দিয়েছেন 'সেক্স স্ট্রাইক' বা যৌন ধর্মঘট। গর্ভপাত নিষিদ্ধ আইন বাতিলের আগ পর্যন্ত পুরুষদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি নারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।