গির্জায় যৌন নিপীড়নের ঘটনা জানাতে আইন

প্রকাশ | ১১ জুন ২০১৯, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
ক্যাথলিক গির্জায় শিশুসহ অন্যান্যদের যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের হলেও এতদিন নির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে এবার পোপ ফ্রান্সিস এ সম্পর্কিত একটি আইন জারি করেছেন। ৯ মে প্রকাশিত এই আইনের মাধ্যমে যাজক ও সন্ন্যাসিনীদের জন্য যৌন নিপীড়ন সংক্রান্ত তথ্যাদি অবিলম্বে গির্জা কর্তৃপক্ষকে জানানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলে এই বিষয়ক তথ্য, যেমন যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে এমন নির্দিষ্ট তথ্য, কিংবা অপরাধ ঘটে থাকতে পারে বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে, এমন তথ্য কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। এছাড়া কেউ এমন ঘটনা আড়ালের চেষ্টা করছে কিনা তা-ও জানাতে বাধ্য থাকবেন যাজক ও সন্ন্যাসিনীরা। শিশু পর্নগ্রাফির বিষয়টিও জানাতে হবে বলে আইনে বলা হয়েছে। এই অভিযোগ জানানোর একটি সহজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে গির্জাগুলোর জন্য ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। অবশ্য এই আইন না মানলে কোনো শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়নি। উলেস্নখ্য, অস্ট্রেলিয়া থেকে চিলি, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কয়েক দশক ধরেই গির্জায় শিশুসহ অন্যান্যদের উপর যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে আলোচনা করতে গত ফেব্রম্নয়ারি মাসে সারা বিশ্বের যাজকদের নিয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন পোপ। সেই সময় তিনি স্বীকার করেছিলেন যে, অনেক যাজক অতীতে সন্ন্যাসিনীদের 'যৌন দাসী' হিসাবে ব্যবহার করেছেন এবং হয়ত এখনো করছেন। যৌন নিপীড়নের শিকাররা অনেকদিন ধরেই ভ্যাটিকানের কাছ থেকে এই অপরাধের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ আশা করছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, যাজকদের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাঁদের বহিষ্কার করতে হবে। অনেকে অপরাধী যাজকদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়ারও দাবি জানিয়েছিলেন।