জা র্মা নি

আবার আজীবন কারাদন্ডে দন্ডিত সিরিয়াল কিলার

প্রকাশ | ১৮ জুন ২০১৯, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
ইন্টারনেট অবলম্বনে
দুজনকে হত্যার দায়ে আজীবন কারাদন্ড ভোগ করছেন নিলস হ্যোগেল। সম্প্রতি আরও ৮৫ জনকে হত্যার দায়ে একই শাস্তি পেলেন তিনি। প্রাণ যাওয়া রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে কমবয়সী রোগীর বয়স ছিল ৩৪, আর সবচেয়ে বেশি বয়সের রোগীর বয়স ছিল ৯৬। সাবেক নার্স হ্যোগেল ২০০০ সালের ফেব্রম্নয়ারি থেকে ২০০৫ সালের জুন পর্যন্ত জার্মানির অল্ডেনবুর্গ ও ডেলমেনহোর্স্ট শহরের দুটি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, ঊর্ধ্বতনদের কাছে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে কিংবা একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পেতে হ্যোগেল রোগীদের শরীরে ওষুধ দিতেন। এ ক্ষেত্রে তিনি এলোমেলোভাবে রোগী বাছাই করতেন এবং তারপর তাদের শরীরে এমন ওষুধ দিতেন, যার প্রভাবে সেই রোগী হার্ট অ্যাটাকসহ অন্যান্য জটিলতায় ভোগা শুরু করতেন। এরপর হ্যোগেল ওই রোগীদের সারিয়ে তুলে সহকর্মী কিংবা ঊর্ধ্বতনদের সামনে নিজের দক্ষতা দেখাতে চাইতেন। ২০০৫ সালে ডেলমেনহোর্স্ট শহরের হাসপাতালে এক রোগীর সঙ্গে এমন কাজ করার সময় অন্য এক নার্সের কাছে ধরা পড়েন হ্যোগেল। এরপর তদন্তকারীরা সন্দেহজনক প্রায় ২০০টি মামলার তদন্ত করেছেন। তদন্তের প্রয়োজনে ১৩০টি লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে। ২০১৫ সালে দুজন রোগীকে হত্যার দায়ে হ্যোগেলকে আজীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। তবে পরে তদন্তকারীরা জানতে পারেন যে, হ্যোগেলের অপরাধের শিকার মাত্র দুজন নন, আরও অনেক বেশি। গত অক্টোবরে হ্যোগেল আদালতে আরও রোগী হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। ১৩ জুন হ্যোগেলের বিরুদ্ধে আজীবন কারাদন্ডের রায় হয়েছে। এ ক্ষেত্রে শাস্তির সর্বোচ্চ মাত্রা বেছে নিয়েছে আদালত। ফলে ১৫ বছর কারাভোগের পর শাস্তি কমানোর আবেদনের যে সুযোগ পেয়ে থাকেন আসামিরা, হ্যোগেলের ক্ষেত্রে সেটি প্রযোজ্য হবে না। আদালতে যুক্তিতর্ক চলার সময় হ্যোগেল তার হাতে প্রাণ যাওয়া রোগীদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। যুদ্ধপরবর্তী জার্মানির ইতিহাসে অন্যতম ভয়ঙ্কর খুনি পুরুষ নার্স হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন হ্যোগেল।