ভা র ত

শিশুদের জন্য সাজানো এজলাসে বসবেন বিচারক

প্রকাশ | ২৫ জুন ২০১৯, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
ইন্টারনেট অবলম্বনে
টিনটিন-কুট্টুস, মিকি মাউসের মতো কার্টুন চরিত্রে সাজবে এজলাস। আশপাশে সাজানো থাকবে পুতুল, খেলনা। বিচারকের আসনের সামনে থাকবে না লালশালু মোড়া মোটা বই। সোফায় বসে দুই পক্ষের কথা শুনবেন বিচারপতি। এমনভাবেই শিশুবান্ধব করে তোলা হবে ভারতের আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালত। আলিপুর আদালত সূত্রের খবর, সনাতন আদালতের পরিবেশ আর একেবারেই রাখা হবে না এখানে। আলিপুর দায়রা আদালতের প্রায় ৮০০ বর্গফুট ঘরটিতে এজলাসের গঠনটাই বদলে দেয়া হবে। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও সৌমেন সেন ওই ঘরটি পরিদর্শন করেছেন। তাদের পরামর্শ মতোই শুরু হয়েছে শিশুবান্ধব আদালত তৈরির কাজ। পকসো ধারায় বহু শিশুর উপরে নির্যাতনের মামলা হয়। আলিপুর আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিচারের জন্য তিন-চার বছরের শিশুদেরও আসতে হয় আদালতে। ওই শিশুরা আদালতের গুরুগম্ভীর পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে উঠতে পারে না। আদালতের এজলাসে এসে মানসিক চাপ বাড়ে। পকসো মামলায় নির্যাতিত শিশুদের সাক্ষ্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর কাছ থেকে পুরো ঘটনা ঠিকভাবে জেনে লিপিবদ্ধ না করা গেলে আইনের ফাঁক দিয়ে বেকসুর খালাসও পেয়ে যেতে পারে অভিযুক্ত। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, মানসিক চাপে পড়ে ঘটনার ঠিক বিবরণ দিতে অসুবিধে হয় তাদের। তা ছাড়া, বিচার প্রক্রিয়ার সময়েই অনেক ক্ষেত্রে শিশুরাও উপস্থিত থাকে। ওই সময়েও শিশুদের সাক্ষ্য প্রয়োজন হয়। এমন সময়ে একেবারে অচেনা পরিবেশে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে শিশুরা। অনেক ক্ষেত্রে গোটা ঘটনাই ভুলে যায় তারা। শিশুদের মানসিক সুরক্ষা শিশু অধিকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এছাড়াও বিচারিক প্রক্রিয়ার সুষ্ঠুৃতা বজায় রাখার জন্য শিশুবান্ধব আদালত যেখানে শিশুরা স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে পারবে তা নিশ্চিত করা শিশুদের বিচারিক অধিগম্যতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে মনে করেন আদালত। তবে শিশুবান্ধব আদালতে বিচারক ও আইনজীবীরা কালো কোর্ট পরবেন কিনা, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কালো কোর্টের বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী পর্যায়ে আলোচনা করা হবে।