বিভিন্ন দেশের আইনে চাকরি থেকে অবসরের বয়স

প্রকাশ | ২৫ জুন ২০১৯, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার (ওইসিডি) সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী সারা বিশ্বে নারীদের চাকরি থেকে অবসরের গড় বয়স ৬৪ বছর ৩ মাস এবং পুরুষদের ৬৩ বছর ৭ মাস। জেনে নিন বিভিন্ন দেশের আইনে অবসরের সর্বোচ্চ বয়স কত। ভারতে সরকারি চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৬০ বছর। সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের ক্ষেত্রে তা পাঁচ বছর বেশি, অর্থাৎ ৬৫ বছর। চীনে নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে বৈষম্য স্পষ্ট। সেখানে নারীরা সর্বোচ্চ ৫০ বছর পর্যন্ত চাকরি করতে পারেন, তবে পুরুষদের ৬০ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত চাকরি করার সুযোগ রয়েছে। ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত জাপানের চাকরি থেকে অবসরের সর্বোচ্চ বয়স ছিল ৫৫। তবে ১৯৯৮ সালে তা বাড়িয়ে ৬০ বছর করা হয়। তারপর থেকে অবসরের বয়সসীমা ধীরে ধীরে বাড়ানো হচ্ছে। এখন যে কেউ ৬২ বছর ৭ মাস পর্যন্ত চাকরি করতে পারেন। ২০২৫ সালের মধ্যে তা বেড়ে ৬৫ বছর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাশিয়াতেও নারী আর পুরুষের চাকরি থেকে অবসরের বয়স এক নয়। নারীদের ৫৫ আর পুরুষদের ৬০ বছর। ব্রিটেনেও এ ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। পুরুষদের চাকরি থেকে অবসর নেয়ার বয়স ৬৫ বছর আর নারীদের ৬০ বছর। তবে ২০২০ সালের মধ্যে নারী-পুরুষের জন্য অভিন্ন বয়স নির্ধারণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। নেদারল্যান্ডস, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি ও স্পেন- এই দেশগুলোতে অবসর নেয়ার বয়স ৬৫ থেকে ৬৬ বছরের মধ্যে। জার্মানিতে চাইলে ৬৫ বছরের আগেও অবসর নেয়া যায়, তবে পেনশন পাওয়া যায় ৬৫ বছরের পর থেকে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিকদের অবসর নেয়ার সর্বোচ্চ বয়স মাত্র ৪৯ বছর। তবে বিদেশিরা স্বাভাবিক অবস্থায় ৬০ বছর এবং মন্ত্রণালয়ের অনুমতিসাপেক্ষে ৬৫ বছর পর্যন্ত চাকরি করতে পারেন। লিবিয়ায় ২০১৭ সালে অবসরের বয়স ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৭০ বছর করা হয়। তবে চাইলে বয়স ৬৫ হলেও অবসর নেয়া যায়। আইসল্যান্ড, নরওয়ে- এই দুটো দেশে অবসরের সর্বোচ্চ বয়স ৬৭। অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম- এই দুই দেশে অবসরের বয়স এখন সাড়ে ৬৫ বছর। তবে ২০২৩ সালে তা ৬৭ বছর করা হবে। তারপর থেকে বছরে ছয় মাস করে বাড়িয়ে ২০৩৫ সালে অবসরের বয়স ৭০ করার কথা ভাবছে সরকার। যুক্তরাষ্ট্রে অবসরের গড় বয়স ৬৬ বছর। সাধারণভাবে বয়সসীমা ৬৫ নির্ধারণ করেছে সরকার। তবে যাদের জন্ম ১৯৩৮ সাল বা তার পরে, তারা ৬৫ বছরের পরেও চাকরির মেয়াদ বাড়াতে পারেন। ১৯৫৯ সালের পরে জন্ম নেয়া ব্যক্তিদের ৬৭ বছর পর্যন্ত চাকরি করার সুযোগ রয়েছে।