ডিএনএ টেস্ট না করায় জামিন বাতিল!

প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
সন্তানের পরিচয় অস্বীকার করার পর আদালতের নিদের্শনা থাকা সত্তে¡ও ডিএনএ টেস্ট না করায় আলমগীর কবির নামের এক ব্যক্তির জামিন বাতিল করেছে হাইকোটর্ বিভাগ। একই সঙ্গে তাকে ঢাকার নারী ও শিশু নিযার্তন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ আত্মসমপর্ণ করার নিদের্শ দিয়েছে আদালত। তা না হলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য ট্রাইব্যুনাল-৩ কে নিদের্শ দিয়েছে উচ্চ আদালত। হাইকোটর্ বিভাগের বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবতীর্র সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ১৯ জুলাই এই আদেশ দেয়। জানা যায়, ২০১২ সালের ১২ মে আলমগীর কবিরের সঙ্গে অঁাখি আক্তারের বিয়ে হয়। তারা দুজনই যাত্রাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা। এরপর ২০১৪ সালের ৯ জুন অঁাখির এক ছেলেসন্তানের জন্ম হয়। এরপর আলমগীর কবির ওই সন্তান তার নয় বলে দাবি করেন। পরে ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর অঁাখি আক্তার সন্তানের পিতার পরিচয় দাবিতে ঢাকার নারী ও শিশু নিযার্তন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় চলতি বছরের ৭ ফেব্রæয়ারি নারী ও শিশু নিযার্তন ট্রাইব্যুনাল আলমগীর কবিরের ডিএনএ টেস্ট করে ওই শিশু তার কিনা সেটা নিশ্চিত করার আদেশ দেয়। আলমগীর ডিএনএ টেস্টের ওই আদেশ না মানায় গত ৩০ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন এই আদালত। এরপর গত ১৫ মে নারী ও শিশু নিযার্তন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমপর্ণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে দেয় এবং তাকে কারাগারে পাঠানোর নিদের্শ দেয়। এরপর আলমগীর কবির জামিন চেয়ে হাইকোটর্ বিভাগে আবেদন করেন। শুনানিতে আসামির ডিএনএ টেস্ট করতে জামিন চাওয়া হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আলমগীর কবিরকে গত ৩০ মে শতর্ সাপেক্ষে এক মাসের জামিন দেয় এবং এক মাসের মধ্যে আলমগীর কবিরকে ডিএনএ টেস্ট করতে নিদের্শ দেয় হাইকোটর্। এরপর গত ২৭ জুন ডিএনএ টেস্ট না করেই জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করলে তার জামিনের মেয়াদ ১৫ দিন বৃদ্ধি করে হাইকোটর্ বিভাগ। কিন্তু সে সময় শেষ হবার পরও ডিএনএ টেস্টও না করা এবং আদালতে প্রতিবেদন দাখিল না করায় তার জামিন বাতিল করে আত্মসমপের্ণর নিদের্শ দেন।