কঠোর হচ্ছে মোটরযান আইন

প্রকাশ | ২৩ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতু্য হয় দেড় লাখ মানুষের। গড়ে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে চার হাজার মানুষ। আহতের সংখ্যা হয় দুই থেকে পাঁচ কোটি। কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে, ভারতের ৩০ শতাংশ ড্রাইভিং লাইসেন্সই ভুয়া। দায় স্বীকার করেছেন মন্ত্রী নিজেই। ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনের আদলে পরিবহনব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। একই সঙ্গে মোটরযান আইনকেও কঠোর করার কথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গাডকারি। সরকার মনে করছে, ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে আরও কঠোরব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি বর্তমান ট্রাফিক নিয়মে বেশকিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। তাতে দুর্ঘটনার মাত্রা কমবে বলেও মনে করছে বিজেপি সরকার। পরিবেশ দূষণ রোধ এবং আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তোলাও সরকারের লক্ষ্য। তাই ১৯৮৮-র আইন পরিবর্তন করতে মোটরযান (সংশোধনী) বিল, ২০১৯ সংসদে তুলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের নিয়ম অনুযায়ী লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাস হওয়ার পর বিলটি পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে। তার ছাড়পত্র পেলেই আইনে সংশোধনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। বর্তমান আইনে গাড়ির রেজিস্ট্রেশনে দেরি হলে জরিমানা ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। মোটরযান আইনে ট্রাফিক নিয়ম অমান্যকারীদের জরিমানার পরিমাণ ১০ থেকে ২০ গুণ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে সরকার। হেলমেটবিহীন চালকের জরিমানা ১০০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা করার ইচ্ছা সরকারের। গতিসীমা ছাড়ালে জরিমানা ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজারে উন্নীত করার প্রস্তাব দিয়েছে সরকার। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালালে জরিমানা ২ হাজার টাকা। এবার তা ১০ হাজারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কোনো নাবালক চালক ট্রাফিক আইন অমান্য করলে তার দায় নিতে হবে অভিভাবককে অথবা গাড়ির মালিককে। বাতিল করা হতে পারে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন। আর ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ ২০ বছর থেকে কমিয়ে ১০ বছর করারও সুপারিশ করছে সরকার। ৫৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের গাড়ির লাইসেন্স দেয়া হবে ৫ বছরের জন্য। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবারকে তিন মাসের মধ্যে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিধান রাখা হচ্ছে সংশোধিত আইনে। এর আগে ২০১৬ সালে আইনটি সংশোধন করতে চেয়েছিল সরকার। ২০১৭ সালের এপ্রিলে লোকসভায় পাসও হয়। কিন্তু দেশজুড়ে পরিবহন ধর্মঘট ডাকে একাধিক সংগঠন। তার জের ধরে, বিলটি রাজ্যসভায় পেশ করা হলেও পাস হয়নি। এর মধ্যে সরকারের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাই আবার নতুন করে বিলটি এনেছে সরকার। ইন্টারনেট অবলম্বনে