প্রতিবেশী ও বাড়িওয়ালাদের করা উদ্ভট কিছু মামলা

প্রকাশ | ৩০ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
তরুণী ভাড়াটিয়া নিজের বাগানে নগ্ন হয়ে সূর্যস্নান করলে বা ভাড়াটিয়া বাগান থেকে ফল পাড়লে কিংবা প্রতিবেশী বারান্দায় ধূমপান করলে মামলা হতে পারে? হঁ্যা, জার্মানির এরকম কিছু অদ্ভুত মামলার ফলাফল জেনে নিন। রাজহাঁসের বাড়ি ছাড়তে হবে এক হাজার স্কয়ার মিটারের এক বাড়িতে এক দম্পতি দুটো রাজহাঁস পোষেন। রাজহাঁসের ডাকাডাকিতে প্রতিবেশীরা অস্থির হয়ে মামলা করেন। কোলনের প্রশাসনিক আদালত সেই মামলার রায়ে জানায়, কুকুর, বেড়াল বা খরগোশের মতো রাজহাঁসের আবাসিক এলাকায় থাকার কোনো অনুমতি নেই, অর্থাৎ আদরের রাজহাঁস দু'টোকে বাড়ি বদল করতে হবে। বাড়িওয়ালার গাছের ফল খেতে পারেন এক ভাড়াটিয়া তার বাড়িওয়ালার বাগানের গাছ থেকে সব ফল পেড়ে নিয়েছে। বাড়িওয়ালা তো মহা রাগ! করে দিলেন ভাড়াটিয়ার নামে মামলা। তবে আদালতের রায়, বাড়িওয়ালার গাছের ফল খাওয়ার অধিকার ভাড়াটিয়ার রয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে কোলনের লেভারকুজেনে। নিজের বাগানে নগ্ন হয়ে সূর্যস্নান করতে বাধা নেই এক ভাড়াটিয়া বাগানে নগ্ন হয়ে সূর্যস্নান করেন বলে বাড়িওয়ালা তার বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেন। বলাই বাহুল্য নগ্ন হয়ে সূর্যস্নানের বিষয়টি প্রতিবেশীদের মধ্যে মুখরোচক গল্পের খোরাক জোগাতো। মামলার রায়ে আদালত জানায়, নিজের বাড়িতে কে কীভাবে সূর্যস্নান করবে বা বাগান কী কাজে ব্যবহার করবে সেটা একান্তই তার ব্যক্তিগত পছন্দ। ট্রাম্পোলিন সন্তানদের আনন্দের জন্য এক মা নিজেদের বাগানে ট্রাম্পোলিন লাগিয়েছেন। এতে ছোট বাগানে ছেলেমেয়েরা লাফালাফি করলে নাকি প্রতিবেশীদের অসুবিধা হয়! তাই মামলা করা হয়। তবে মিউনিখ জেলা আদালত রায় দেয়, বাগান যত ছোটই হোক না কেন, সেখানে খেলার সরঞ্জাম রেখে খেলাধুলা করা যেতেই পারে। ধূমপানের সময় বেঁধে দেয়া বাড়ির বারান্দায় এক ভদ্রলোক নিয়মিত ধূমপান করেন বলে বিরক্ত হয়ে তার প্রতিবেশী মামলা করেন। জেলা আদালত জানায়, যে কেউ তার বাড়ির বারান্দায় ধূমপান করতে পারে। তবে এ নিয়ে প্রতিবেশীরও অভিযোগ করার অধিকার অবশ্যই রয়েছে। তাই আদালতের রায়, দুই পক্ষেরই যেন অসুবিধা না হয় তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলে ধূমপানের সময় ঠিক করে নিতে হবে। রোবট প্রতিদিনই ঘাস কাটে এক দম্পতির বাগানের ঘাস কাটার জন্য রয়েছে একটি রোবট। সেই রোবট দুপুর একটা থেকে তিনটা পর্যন্ত সময়টুকু (জার্মানিতে বিশ্রামের সময়) বাদ দিয়ে সবসময়ই ঘাস কাটে। এতে প্রতিবেশীরা বিরক্ত হয়ে আদালতে যান। জিগবুর্গের জেলা আদালতের রায়ে জানানো হয়, ঘাস কাটার সময় রোবটের শব্দের মাত্রা ৫০ ডেসিবেলের বেশি হয় না বা হতে পারে না। কাজেই এতে প্রতিবেশীর অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। ডয়েচে ভেলে অবলম্বনে