মৌ রি তা নি য়া

বস্নাসফেমি আইনে সাজা খেটেও মুক্তি পাচ্ছেন না ওয়ালাদ

প্রকাশ | ০৬ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
ডয়েচে ভেলে অবলম্বনে
দুই বছর পূর্ণাঙ্গ সাজা খেটেও জেল থেকে বের হতে পারছেন না মৌরিতানিয়ার তরণ ওয়ালাদ মোহামেদ আমখিতির। ইসলাম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে তাকে প্রথমে মৃতু্যদন্ড ও পরে দুই বছরের সাজা দেয়া হয়েছিল। ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে আফ্রিকান এই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিনি ইসলামের প্রথমদিককার রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন ফেসবুকে। তার বিরুদ্ধে বস্নাসফেমির অভিযোগ এনে অনেক মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন বিচারের দাবিতে। সে বছর ডিসেম্বরে একটি আদালত ওয়ালাদকে মৃতু্যদন্ডের সাজা দেন। ২০১৭ সালে তিনি আপিল করলে উচ্চতর আদালত সে সাজা কমিয়ে দুই বছরের কারাদন্ড দেন। এমনকি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ক্ষমাও চান। সেই দুই বছরের সাজা শেষ হয়েছে। ফেসবুকে আবারও ক্ষমা চেয়েছেন ওয়ালাদ। কিন্তু তারপরও তাকে ছাড়া হচ্ছে না। 'আমরা জানি তাকে আইনগতভাবে এখন ছেড়ে দেয়া উচিত। কিন্তু ৪০ লাখ মৌরিতানিয়ানের নিরাপত্তার খাতিরে তা করতে পারছি না,' এভাবেই বিষয়টির ব্যাখ্যা দেন দেশটির সদ্যবিদায়ী প্রেসিডেন্ট মোহামেদ ওউলদ আবেদল আজিজ। 'লাখো মৌরিতানিয়ান তার মৃতু্যর দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। তাকে ছেড়ে দেয়া মানে আবারও অরাজকতা শুরু হবে।' বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সম্প্রতি বস্নাসফেমি আইন আবারও আলোচনায় এসেছে। এই আইনের অপব্যবহার রোধ করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডাকে সাড়া দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ওয়াশিংটনে কিছুদিন আগে ধর্মের স্বাধীনতা বিষয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শেষে আলবেনিয়া ও কসভোর পর মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে আরব আমিরাত এক বিবৃতিতে সই করে। বিবৃতিটি ছিল বস্নাসফেমি ও মুরতাদ আইনের অপব্যবহার নিয়ে। সেখানে বলা হয়েছে, 'আমরা সরকারগুলোকে অনুরোধ করছি যে বস্নাসফেমি ও এমন অন্য যে সব আইন আন্তর্জাতিক আইনের বিপরীতে গিয়ে মানুষের বাক স্বাধীনতা, ধর্ম ও বিশ্বাসের সুযোগ সীমিত করে, তা বাতিল করা হোক।' আরব আমিরাতসহ বিশ্বের অনেক দেশেই বস্নাসফেমি আইন কার্যকর রয়েছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার কিছু মুসলিম অধু্যষিত দেশে এর প্রয়োগ বেশি। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তানেও বস্নাসফেমি আইনের কঠোর প্রয়োগ দেখা যায়। সম্প্রতি আসিয়া বিবির ঘটনা এর বড় উদাহরণ। আদালত তাকে নির্দোষ ঘোষণা করলেও তিনি নিজ দেশে নিরাপদ ছিলেন না। ইউরোপে চলে আসতে হয়েছে তাকে।