ভা র ত

শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো যাবে না এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে

প্রকাশ | ২৭ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
ইন্টারনেট অবলম্বনে
জন্মাষ্টমীতে এলাহাবাদ হাইকোর্টের মহামান্য প্রধান বিচারপতি গোবিন্দ মাথুরের মোবাইলে সহকর্মী ও অধস্তনরা কৃষ্ণ-জন্মের শুভেচ্ছা জানিয়ে এত মেসেজ পাঠিয়েছেন যে বিচারপতি মহোদয় বিরক্ত! স্বয়ং রেজিস্ট্রার জেনারেল শুক্রবার ২৩ আগস্ট রীতিমতো প্রশাসনিক নির্দেশ জারি করে জানিয়ে দিয়েছেন, কোনো উপলক্ষেই আর প্রধান বিচারপতির মোবাইলে কোনো শুভেচ্ছা বার্তা দেয়া যাবে না। নির্দেশ অমান্য করা হলে পরিণতি যে মধুর হবে না, তা-ও বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে নির্দেশিকায়। এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই বার্তা এখন ঘুরছে কলকাতার আইনজীবী এবং বিচার বিভাগের অফিসারদের মোবাইলেও। আলোচনায় সবাই মানছেন সকাল থেকে এমন মুঠো মুঠো মেসেজ-প্রাপ্তির যন্ত্রণা এবং বিরক্তির কথা। কলকাতা হাইকোর্টে আবার এমন কিছু আধিকারিকও আছেন, যারা এ খবর শুনে মুচকি হেসেছেন। হাসবেনই, কারণ এই সাইবার যুগেও তারা হোয়াটসঅ্যাপে নেই। ফলে, জরুরি প্রয়োজনেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মোবাইলে মেসেজ বা ই-মেইল ভরসা। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার না-করা নিয়ে অবশ্য তারা পিছিয়ে পড়ছি গোছের ভাবনা পোষণ করেন না মোটেই। বরং তাদের মতে, যেচে অশান্তি নেয়ার থেকে এই ভালো। ভারতে মোবাইল নম্বর গোপন রাখার সুযোগ খুব কম। কিন্তু আমেরিকা, কানাডার মতো দেশে ফোনের মালিক ইচ্ছা হলেই তার নম্বর গোপন রাখতে পারেন। ফলে, সকাল থেকে রাত সেখানে এই মেসেজের অত্যাচার নেই। কিন্তু ভারতে সাধারণ মোবাইল ব্যবহারকারীর সেই সুযোগ নেই, ফলে এই নিত্য যন্ত্রণা থেকেই রেহাই নেই কোনো। কিছু ক্ষেত্রে সরকারি বিশেষ অনুমতিক্রমে সার্ভিস প্রোভাইডাররা নির্দিষ্ট কিছু নম্বর গোপন রাখেন। অন্যের নজর পাওয়াই সকাল থেকে মেসেজ ফরওয়ার্ডকারীর প্রথম লক্ষ্য বলে মনে করেন মনস্তত্ত্ববিদ কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। আগে মনে করা হতো, শুধু স্কুল-কলেজ পড়ুয়ারাই মোবাইলে এমন মেসেজ বেশি পাঠায়। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে তাদের বাবা-মায়েরাও সেই একই নেশায় আক্রান্ত। যিনি নিজে হয়তো মেসেজের পস্নাবনে বিরক্ত, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে উত্তর দেয়া ছাড়া পথও থাকে না। হয়তো এমনই গুরুত্বপূর্ণ কেউ তাকে মেসেজ পাঠালেন, যার জবাব না দিলে সমস্যা হতে পারে। ফলে, মন না চাইলেও মেসেজ দেয়া-নেয়ার জোয়ারে গা ভাসাতে হয়। আবার এটাও ঠিক যে, অনেকের কাছে এটা জনসংযোগের একটা পথও বটে।