ভা র ত

৬ দিনে ধর্ষণের বিচার সম্পন্ন পকসো আদালতে

প্রকাশ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
ইন্টারনেট অবলম্বনে
এক কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় ছয়দিনে বিচার শেষ করে অভিযুক্ত যুবকের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দিল কলকাতার শিয়ালদহ আদালত। বিচারে বিলম্বের চিরাচরিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে যা বেনজির অবশ্যই। তবে এত দ্রম্নত তদন্ত-চার্জশিট পেশ ও বিচার সম্পন্ন হওয়ার মধ্যে অস্বাভাবিকতার আশঙ্কাও করছেন আইনজীবীদের একাংশ। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম এই সময়ের প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, গত ১ আগস্ট সকালে অতিরিক্ত জেলা-দায়রা বিচারক জিমূতবাহন বিশ্বাস পকসো মামলায় অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ দে-কে দোষী সাব্যস্ত করেন। দুপুরে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের ঘোষণা হয়। দুই লাখ টাকা জরিমানারও নির্দেশ দেয় আদালত। যার ৯০ শতাংশ নির্যাতিতা নাবালিকাকে দিতে বলা হয়েছে। আদালত সূত্রে খবর, গত ২১ জুলাই অসুস্থ হয়ে পড়ে বছর সপ্তদশী এক কিশোরী। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে জানা যায়, মেয়েটি ছয়মাসের অন্তঃসত্ত্বা। নির্যাতিতা জানায়, বিয়ের প্রতিশ্রম্নতি দিয়ে তার সঙ্গে সহবাস করেছে বিশ্বজিৎ। পরে বিয়ে করতে অস্বীকার করে ওই যুবক। বিষয়টি নিয়ে গত ২৪ জুলাই উল্টোডাঙা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মেয়েটির মা। এক দিনের মধ্যে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। দুদিনে চার্জ ফ্রেম করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে আদালত। টানা তিনদিন শুনানির পর ১ আগস্ট রায় ঘোষণা করেন বিচারক। অন্যদিকে ধর্ষণের মতো মামলায় মাত্র একদিনে কীভাবে চার্জশিট পেশ সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবীদের কেউ কেউ। ভ্রূণের ডিএনএ পরীক্ষা হয়নি। হয়নি ফরেন্সিক টেস্ট। এ সব পরীক্ষা ছাড়া কী করে অভিযুক্তকে নিশ্চিতভাবে দোষী সাব্যস্ত করা হলো, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। বিচারক রায়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের উলেস্নখ করে জানিয়েছেন, পকসো মামলা যত দ্রম্নত সম্ভব শেষ করতে বলা হয়েছে। শুনানিতে অযথা স্থগিতাদেশেও নিষেধ রয়েছে। উলেস্নখ্য, পকসো হচ্ছে প্রিভেনশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেনসেসের সংক্ষিপ্ত রূপ। শিশু সুরক্ষায় এ সংক্রান্ত আইন করেছে ভারত। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তিতে গঠন করা হয়েছে আলাদা আদালত যা পাকসো আদালত নামে পরিচিত।