জেনে নিন

যৌন নিপীড়কদের শাস্তি দিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে ৩০ লাখ ছবি, ৮৬ হাজার ভিডিও

প্রকাশ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
১০ বছরে কমপক্ষে ৩২ জন শিশুর ওপর যৌন নিপীড়ন চালিয়েছে তারা। ৩০ লাখ ছবি ও ৮৬ হাজার ভিডিও পাওয়া গেছে। সেগুলো দেখে এবং ৩৩ জনের সাক্ষ্য নিয়ে দুই যৌননিপীড়ককে কারাদন্ড দিয়েছে জার্মানির এক আঞ্চলিক আদালত। ২০০৮ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ১০ বছরে লু্যডগে শহরে কমপক্ষে ৩২ জন শিশুর ওপর যৌননিপীড়ন চালায় আন্দ্রেয়াস ভি. এবং মারিও এস. নামের দুই ব্যক্তি। মূল অভিযোগ আন্দ্রেয়াসের বিরুদ্ধে। তাকে ১৩ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে ডেটমোল্ডের আদালত। অন্য আসামি মারিয়ো পেয়েছেন ১২ বছরের কারাদন্ড। তবে সাজার মেয়াদ শেষেও সমাজের জন্য বিপজ্জনক মনে হলে অনির্দিষ্টকাল কারাগারে থাকতে হতে পারে তাদের। আন্দ্রেয়াস ভি. এবং মারিও এস. যৌননিপীড়নের নারকীয় ঘটনাগুলো ঘটান ছোট্ট শহর লু্যডগের এক ক্যাম্পসাইটে। আন্দ্রেয়াস এক শিশুকন্যাকে পেলে-পুষে বড় করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। পালক কন্যাকে দিয়েই ৩ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের নিয়ে আসা হতো ক্যাম্পসাইটে। আন্দ্রেয়াস আর মারিও ওই শিশুদের ভুলিয়ে-ভালিয়ে যৌন লালসা মেটাতেন। যৌননিপীড়নের ছবি আর ভিডিও রেখে দিতেন যত্ন করে। এসব কাজে ৪৯ বছর বয়সী আরেক ব্যক্তিরও ভূমিকা ছিল। আলাদা শুনানি শেষে তাকে দুই বছরের স্থগিত কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। সাজাপ্রাপ্তদের প্রত্যেকেই অপরাধ স্বীকার করেছেন। ১০ দিনের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার সময় বিচারক আনকে গ্রম্নড্ডা ৩২ জন শিশুকে স্রেফ যৌন লালসার বস্তু বানিয়ে তাদের শৈশব ধ্বংস করে দেয়ায় আসামিদের ভর্ৎসনা করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানির ইতিহাসের অন্যতম বড় শিশু যৌননিপীড়নের ঘটনা এটি। দোষীদের কঠোর সাজা হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে শিশুদের যৌন নিপীড়নবিষয়ক কমিশনার ইয়োহানেস-ভিলহেম রোরিগ বলেছেন, 'ডেটমোল্ডের আদালত সর্বোচ্চ সাজাই দিয়েছে এবং এর মাধ্যমে সমাজকে বার্তা দিয়েছে যে, শিশুদের সঙ্গে এমন অপরাধ করলে অপরাধীর কঠোর সাজা হবে।' ডয়েচে ভেলে অবলম্বনে