জনপ্রিয় হচ্ছে সরকারি উদ্যোগে এডিআর

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিরোধীয় পক্ষগণের সম্মতিতে তথা বিকল্পবিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) মাধ্যমে পাওনাদারকে এক অর্থবছরে ৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা আদায় করে দিয়েছে একটি সরকারি সংস্থা। এছাড়া সফল বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ায় পরবর্তীতে উপকারভোগীরা আদালত থেকে ২৪৩টি মামলা তুলে নেন। আইন বিচার ও সংসদ বিচারক মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় আইনগত প্রদান সহায়তা সংস্থা বিনামূল্যে দুই পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ টাকা আদায় করে দিয়েছে। সংস্থারটির বার্ষিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধী নিষ্পত্তি সারাবিশ্বে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিরোধীয় পক্ষের সম্মতিতে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ায় বিকল্পবিরোধ নিষ্পত্তি। বাংলাদেশে সুদীর্ঘকাল ধরে মীমাংসা মধ্যস্থতা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আদালত ছাড়া আইনসম্মত কোনো প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব দৃশ্যমান ছিল না। আইন ও বিচার বিভাগের অধীনে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার জেলা লিগ্যাল এইড অফিস প্রথম আইন স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান যা মীমাংসা বা মধ্যস্থায়ের মাধ্যমে পক্ষগণের মধ্যকার বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারে। এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সংস্থার উদ্যোগে আইনমন্ত্রী ২০১৩ সালে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০-এর সংশোধনী বিল সংসদে উত্থাপন করেন। এটি পাস হওয়ার মাধ্যমে ২০১৩ সালের ৬২ নম্বর আইন বলে ২১(ক) ধারা এ আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরে ২০১৫ সালের ৯ ফেব্রম্নয়ারি মন্ত্রণালয় আইনগত সহায়তা প্রদান (আইনি পরামর্শ ও বিকল্পবিরোধ নিষ্পত্তি) বিধিমালা ২০১৫ প্রজ্ঞাপন জারি করে। এ আইন ও বিধিমালার আলোকে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মামলা দায়েরের আগে ও চলমান মামলায় উভয় ক্ষেত্রেই আপস-মীমাংসার মাধ্যমে বিকল্প পদ্ধতিতে মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিরোধ বা মামলা নিষ্পত্তির জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত হন।