সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ০৭ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
শিশু আদালতে ডিজিটাল ড্যাশবোডর্ আইন ও বিচার ডেস্ক মামলা ব্যবস্থাপনায় শিশু আদালতে ডিজিটাল ড্যাশবোডের্র উদ্বোধন করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। সুপ্রিম কোটর্ মিলনায়তনে শিশু আদালতের মামলার তথ্য সংবলিত ‘ডিজিটাল ড্যাশবোডর্ এবং প্রশিক্ষণ কমর্শালা’র উদ্বোধন করা হয়। সুপ্রিম কোটের্র বিশেষ কমিটি ও ইউনিসেফ এ সভার আয়োজন করে। উদ্বোধনকালে প্রধান বিচারপতি বলেন, শিশু আদালতের মামলা ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল ড্যাশবোডর্ সাহায্য করবে। ডিজিটাল ড্যাশবোডের্র মাধ্যমে মামলা দায়ের ও নিষ্পত্তিসহ বিচারসংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে জানা যাবে। দেশের সব শিশু আদালতে এ কাযর্ক্রম চালু হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আরও বলেন, ডিজিটাল ড্যাশবোডর্ একটি নতুন ধারণা। এ ড্যাশবোডর্ শিশু আদালতের মামলার জট কমিয়ে আনতে বিশেষ ভ‚মিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করি। বতর্মানে সারাদেশে শিশু আদালতে ২১ হাজার ৫০৩ মামলা বিচারাধীন রয়েছে জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের বিচারব্যবস্থায় অসংখ্য সমস্যা রয়েছে। এ সমস্যার দিকে নজর দেয়ার সময় এসেছে। এ সমস্যা থেকে উত্তরণে প্রযুক্তি গুরুত্বপূণর্ ভ‚মিকা রাখতে পারে। তিনি বলেন, সবদিক থেকেই প্রযুক্তি গোটা বিশ্বে পরিবতর্ন এনে দিচ্ছে। ভবিষ্যতে এ প্রযুক্তিই বিচার প্রশাসন ব্যবস্থায়ও মৌলিক পরিবতর্ন এনে দেবে। আপিল বিভাগের বিচারপতি ও শিশু অধিকারবিষয়ক সুপ্রিম কোটের্র বিশেষ কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি অ্যাডওয়াডর্ বেগবেডারসহ হাইকোটর্ বিভাগের বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোটের্র রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. জাকির হোসেন। আরও বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফের প্রতিনিধি মি. অ্যাডওয়াডর্ বেইজবেডার। নিকাব না সরানোয় জরিমানা আইন ও বিচার ডেস্ক পুরো মুখ-ঢাকা নিকাব পরায় নিষেধাজ্ঞা কাযর্কর হওয়ার পর ডেনমাকের্ এক নারীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। জনসম্মুখে নিকাব পরায় ওই নারীকে অভিযুক্ত করা হয়। ২৮ বছর বয়সী ওই নারী পুলিশের নজরে আসেন কোপেনহেগেনের একটি শপিং সেন্টারে যখন তিনি আরেকজন নারীর সঙ্গে বাক-বিতÐায় জড়িয়ে পড়েন। তার মুখ থেকে নিকাব সরাতে বলা হলে তিনি অস্বীকৃতি জানান। এজন্য তার ওপর জরিমানা ধাযর্ করা হয়। ঘটনার সম্পকের্ প্রাথমিক খবরে বলা হয়, একজন নারী আরেকজনের মুখের পদার্ সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিলেনÑ আর এ নিয়েই বিবাদ চলছিল দুজনের। কিন্তু পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। নতুন চালু করা আইনটি মানবাধিকার-কমীের্দর বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ উসকে দিয়েছে। আইনটিতে বোরকা এবং নিকাবের কথা সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি, কিন্তু বলা হয়, ‘কেউ যদি এমন কোনো পোশাক পরে যার ফলে তার মুখ ঢাকা পড়ে যায় তাহলে তাকে শাস্তি হিসেবে জরিমানা গুনতে হবে।’ পুলিশ জানায়, দুজনের মধ্যে এই নিয়ে গোলমাল চলার সময় একজনের নিকাব খুলে যায়, কিন্তু যতক্ষণে আমরা সেখানে পৌঁছে যাই ততক্ষণে সে তা আবার মুখে পরে ফেলেছে। আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ তল্লাশি করছে। পুলিশ বলার পরও নিকাব না খোলায় ওই নারীকে ১,০০০ ক্রোনার জরিমানা ধাযর্ করা হয়েছে। মাদক ঠেকাতে মৃত্যুদÐ ফিরিয়ে আনছে শ্রীলংকা আইন ও বিচার ডেস্ক মাদকের বিস্তার ঠেকাতে দীঘির্দন ধরে স্থগিত রাখা মাদক অপরাধীদের মৃত্যুদÐের সাজা কাযর্করের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলংকা সরকার। জানা যায়, মাদকের কারণে গুরুতর অপরাধের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সবোর্চ্চ সাজা হিসেবে মৃত্যুদÐ ফিরিয়ে আনার চাপ ছিল প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার ওপরে। বৌদ্ধ প্রধান দেশ শ্রীলংকার আইনে হত্যা, ধষর্ণ, আর মাদক চোরাচালানের মতো গুরুতর অপরাধে মৃত্যুদÐের বিধান থাকলেও ১৯৭৬ সালের পর দেশটির কোনো সরকারই মৃত্যুদÐ কাযর্কর করেনি। শ্রীলংকার আদালত অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় সাজা হিসেবে মৃত্যুদÐের রায় দিয়ে এলেও সরকার তা কাযর্কর না করায় সেই আসামিদের কাযর্ত যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করতে হচ্ছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মাদক চোরাচালান বেড়ে যাওয়ায় এবং এর জের ধরে বেশ কয়েকটি হত্যাকাÐ ঘটায় সরকারকে চাপের মধ্যে পড়তে হয়। এর মধ্যে খবর আসে, মাদক আইনে মৃত্যুদÐে দÐিত কয়েকজন আসামি কারাগারে বসেই শ্রীলংকায় মাদকের কারবার নিয়ন্ত্রণ করছে। এরপর মৃত্যুদÐ কাযর্করের দাবি আরও জোরালো হয়ে ওঠে। শ্রীলংকা হাইকোটের্র একজন বিচারক খুন হওয়ার পর ২০০৪ সালেও দেশটির সরকার গুরুতর অপরাধে মৃত্যুদÐ ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু সরকারের ওই সিদ্ধান্ত সে সময় বিরোধিতার মুখে পড়ে। ফলে কোনো মৃত্যুদÐ আর কাযর্কর হয়নি।