ভা র ত

যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি সাবেক মন্ত্রী

প্রকাশ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
এক নারীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ভারতের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। নিজের কলেজে ভর্তি করে দেয়ার কথা বলে মি. চিন্ময়ানন্দ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন ওই ছাত্রী। কিন্তু আইনের যে ধারায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেটি সরাসরি ধর্ষণ নয়, বরং নিজের পদকে ব্যবহার করে যৌন নিপীড়নের ধারা। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি, কিন্তু পরে সুপ্রিম কোর্টের আদেশে বিশেষ তদন্ত দল তৈরি করা হয়েছিল, যাদের তদন্তের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন স্বামী চিন্ময়ানন্দ এবং তিনি রাম মন্দির আন্দোলনেরও এক বড় নেতা। গ্রেপ্তারের পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে আদালতে হাজির করা হলে তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। মি. চিন্ময়ানন্দের পক্ষ থেকেও ওই ছাত্রীর পরিচিত কয়েকজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। পুলিশের মহা-নির্দেশক ও পি সিং জানিয়েছেন, চিন্ময়ানন্দকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি ওই ছাত্রীটির তিনজন পরিচিত ব্যক্তিকেও চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, 'বিশেষ তদন্তকারী দল দুটি পৃথক অভিযোগের তদন্ত করছিল। একটিতে স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, আর পাল্টা যে চাঁদাবাজির অভিযোগ মি. চিন্ময়ানন্দের তরফে করা হয়েছিল- সেটি। দুটি অভিযোগের তদন্তে নির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়ার পরেই দুটি মামলায় মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।' ছাত্রীটির পরিবারের অভিযোগ সত্ত্বেও পুলিশ প্রথম দিকে তার অভিযোগ নিতে চায়নি। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে। সেই বিশেষ তদন্তকারী দল টানা প্রায় ১১ ঘণ্টা জেরা করে ওই ছাত্রীটিকে। তারপরেই ওই ছাত্রীটির পরিবার অভিযোগ করে যে বিজেপির প্রভাবশালী নেতা হওয়ার কারণে পুলিশ তদন্তে দেরি করছে। মি. চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আট বছর আগেও একবার উঠেছিল। তার আশ্রমেরই বাসিন্দা এক নারী সেই অভিযোগ করেছিলেন। তবে রাজ্যে বিজেপির সরকার গঠিত হওয়ার পর সেই মামলা তুলে নেয় পুলিশ। সরকারের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন ওই নারী। মামলাটির এখনও নিষ্পত্তি না হলেও আদালত সরকারি নির্দেশের ওপরে স্থগিতাদেশ দিয়ে রেখেছে।