ফিলিপাইন

শুল্ক আইন ফাঁকি দিতে তরুণীর কান্ড

প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
নিজের সঙ্গে থাকা কোনো জিনিসপত্র হাতছাড়া করতে রাজি নয় তরুণী গেইল রদ্রিগেজ। উড়োজাহাজে ওঠার সময় আবার অতিরিক্ত জিনিসপত্রের জন্য ব্যাগেজ ফিও দিতে রাজি নন তিনি। তাই অতিরিক্ত ফি দেয়ার হাত থেকে বাঁচতে ঘটালেন এক অদ্ভুত কান্ড। টপাটপ পরে নিলেন তার সঙ্গে থাকা কয়েকটি শার্ট ও টি-শার্ট। আর প্যান্টের ওপর পরে নিয়েছেন বেশ কয়েকটি ট্রাউজারও। সব মিলিয়ে পোশাকগুলোর ওজন ছিল আড়াই কেজি! এমন ঘটনা ঘটেছে ফিলিপাইনের একটি বিমানবন্দরে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ৯ কেজির একটি হাতব্যাগ নিয়ে উড়োজাহাজে ওঠার সময় শুল্ক কর্মকর্তার মুখোমুখি হন রদ্রিগেজ। আর কেবিনে বহনযোগ্য হাতব্যাগ বা লাগেজের সর্বোচ্চ ওজন হতে পারে ৭ কেজি। এর বেশি ওজন নিয়ে কেউ ভ্রমণ করতে পারবেন না। যদি কাস্টমসে চেক করার সময় ধরা পড়ে তবে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলা নিয়ম। আর ভ্রমণের পর ধরা পড়লে অতিরিক্ত মাল বহনের জন্য নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হয়। ফিলিপাইনে পেস্নন থেকে নামার পরপরই শুল্ক বিভাগে যেতে হয় রদ্রিগেজকে। এসময় অতিরিক্ত দুই কেজি পণ্য বহনের জন্য ফি পরিশোধ করতে বলা হলে অভিনব এক কৌশলের আশ্রয় নেন তিনি। ওই তরুণী ব্যাগ খুলে পরতে শুরু করেন একের পর এক শার্ট ও টি-শার্ট। হাতে প্যান্ট উঠে এলে কিছু না ভেবে তাও পরে ফেলেন তিনি। প্রায় আড়াই কেজি ওজন কমানোর পর ব্যাগ মাপতে বলেন কাস্টমস অফিসারকে। ওজন সাড়ে ছয় কেজিতে নামার পর তাকে আর অতিরিক্ত ফি পরিশোধ করতে হয়নি। এ ঘটনায় অনেকেই অবাক হয়ে রদ্রিগেজের ছবি তোলেন এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ার করেন। ঘণ্টা না পেরোতেই কয়েক হাজারবার শেয়ার হয় ছবিটি। অনেকে তাকে কমেন্ট করে উৎসাহও দিতে থাকেন। এ বিষয়ে রদ্রিগেজ মজা করে জানান, আগে যদি জানতেন তার ছবি ভাইরাল হবে তবে আরেকটু পোজ দিতে পারতেন। ভবিষ্যতে এমন কোনো কাজ করার ইচ্ছা নেই। গরমের মধ্যে এতগুলো পোশাক পরে তিনি নিজেই বিপদে পড়েছিলেন। তার পোস্টে মন্তব্যকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আইন মেনেই পণ্য বহন করা উচিত। ইন্টারনেট অবলম্বনে