পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হলো গুটখা, পানমশলা

প্রকাশ | ০৫ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
গুটখা, খৈনি ইত্যাদি তামাকজাত পণ্য এবং সব ধরনের পানমশলা এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলো পশ্চিমবঙ্গে। ৭ নভেম্বর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ হবে পরবর্তী এক বছরের জন্য। এই এক বছরে এ সব জিনিস তৈরি, মজুত, জোগান এবং বিক্রি আইনত অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ এক বছর হলেও বাৎসরিক নবায়ণের মাধ্যমে তা চিরস্থায়ী হতে পারে। চলতি বছরেই পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সরকার ১২ ধরনের পানমশলা নিষিদ্ধ করেছে। ওই পানমশলাগুলোতে ক্ষতিকর ম্যাগনেশিয়াম কার্বনেট আছে, যা ক্যান্সারের কারণ বলে গবেষণায় প্রমাণিত। আর তারও আগে বিহারে নিষিদ্ধ হয়েছে গুটখা। এ বছর একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা রাজস্থানেও জারি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও এই প্রথম নয়- এর আগে ২০১৩ সালে একবার এক বছরের জন্য পশ্চিমবঙ্গে খৈনি, গুটকা, পানমশলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সরকার। কিন্তু পরের বছর সেই নিষেধাজ্ঞার নবীকরণ হয়নি। সারা ভারতের ক্ষেত্রে তামাকজাত পণ্য নিষিদ্ধ করার ব্যর্থতা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হতোদ্যম হয়ে পড়ার একটা কারণ হতে পারে। ২০১২ সালেই সুপ্রিম কোর্টের এক নির্দেশ মোতাবেক ভারতের খাদ্যগুণ ও সুরক্ষা নিয়ামক কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তি মারফত সারা দেশে গুটখা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। মধ্যপ্রদেশ প্রথম সেই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করে। তার পরই মহারাষ্ট্র। পানমশলার ক্ষেত্রে তামাক না থাকলেও ক্ষতিকর ম্যাগনেশিয়াম কার্বনেটের উপস্থিতি ওইজাতীয় সব মসলাকে নিষিদ্ধ তালিকায় এনেছিল। এরপর একে একে রাজধানী দিলিস্ন, কেরালা, উত্তরপ্রদেশ এই নিষেধাজ্ঞা চালু করে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত গুটকা, খৈনি, পানমশলার বহুল ব্যবহারে রাশ টানা যায়নি। বন্ধ করা যায়নি বিক্রি। সেই পরেপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গে জারি হতে যাওয়া নিষেধাজ্ঞা কতটা সুফল দেবে সেটি বড় প্রশ্ন।