সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ২৬ জুন ২০১৮, ০০:০০ | আপডেট: ২৬ জুন ২০১৮, ১১:০৫

অনলাইন ডেস্ক
মহারাষ্ট্রে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ! আইন ও বিচার ডেস্ক ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় মহারাষ্ট্রে গত ২৩ জুন থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সব ধরনের প্লাস্টিকের ব্যবহার। দোকান-বাজার কিংবা রেস্তোরঁাগুলোতে প্লাস্টিকের ব্যাগ বা বোতল অথবা থামোর্কলের বাসন, কোনো কিছুই আর ব্যবহার করা যাবে না ওই রাজ্যে। ধরা পড়লেই বড় অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে। ভারতের বড় রাজ্যগুলোর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই আইন করে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করল সরকার। কাউকে নিষিদ্ধ প্লাস্টিক বহন করতে দেখলেই মোটা অঙ্কের জরিমানা ধাযর্ করেছে সরকার। যেমন : প্রথমবারের জন্য ৫ হাজার আর দ্বিতীয়বারের জন্য ১০ হাজার টাকা। তারপরেও একই ব্যক্তি যদি প্লাস্টিক ব্যবহার করে ধরা পড়েন, তাহলে তিনমাসের জেল। সারা রাজ্যেই করপোরেশন আর পুরসভাগুলো অভিযান চালাতে শুরু করেছে। শুধু নাসিক, সোলাপুর আর পুনে শহর থেকেই জরিমানা বাবদ ২৩ জুন আদায় হয়েছে প্রায় ৮ লাখ টাকা। একজনের অপরাধের দায় গোটা সম্প্রদায়ের! আইন ও বিচার ডেস্ক পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন একটি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী এখনো শতবষীর্ পুরনো আইনে নিপীড়নের শিকার। এখনো ওই গ্রামে কেউ অপরাধ করে পালিয়ে গেলে তার দায় নিতে হয় গোটা কমিউনিটিকে। গত কয়েক দশক ধরে দুগর্ম এই পাহাড়ি এলাকায় বাস করে আসছে একটি উপজাতিগোষ্ঠী। যাদের সঙ্গে পাকিস্তানের মূল ভ‚খÐের তেমন যোগাযোগ নেই। এতদিন এখানে একজনের অপরাধের জন্য পুরো এলাকার মানুষকে জেলে যেতে হতো। এখন আর তা হবে না। একশ বছরের বেশি সময় ধরে চলা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আইনানুযায়ী, সীমান্তে কোনো অপরাধ হলেই তার বিচারের দায়ভার নেবে সেই জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব আইনি পরিষদ। এই নৃগোষ্ঠীর আইনি সংস্থাকে বলা হয় জিরগা। যার সদস্যরা হলেন গ্রামের অভিজ্ঞ প্রবীণরা। তারা মূলত অপরাধের তদন্ত করেন এবং কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিচারের রায় কেন্দ্রীয়ভাবে নিযুক্ত রাজনৈতিক এজেন্টের মাধ্যমে ঘোষণা করেন। ব্রিটিশ শাসকদের এমন আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য ছিল যেন, প্রতিটি এলাকায় তাদের প্রভাব বজায় থাকে। তবে এই ব্রিটিশ আইনের সবচেয়ে বিতকির্ত দিকটি হলো, কেউ যদি অপরাধ করে পালিয়ে যায় তবে তার আত্মীয় স্বজন বা কমিউনিটির সদস্যদের আটক করা হতো। ধারণা ছিল, এতে জড়িত ব্যক্তি চাপে পড়ে ধরা দেবে।