ছেলের স্বীকৃতি পেতে মালয়েশিয়ার সাবেক রাজার বিরুদ্ধে মস্কোর আদালতে মামলা

প্রকাশ | ১২ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

য় আইন ও বিচার ডেস্ক
সুলতান মুহাম্মদ পঞ্চম মালয়েশিয়ার ১৫তম রাজা এবং কেলান্টআনের সুলতান। রুশ মডেলের সঙ্গে তার বিয়ে নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। বিয়ের কয়েক মাস পর গত জানুয়ারিতে মালয়েশিয়ার রাজার পদটি ছেড়ে দেন কেলান্টআনের সুলতান পঞ্চম মুহাম্মদ। বিয়ের কয়েকদিন পরই রুশ সুন্দরী ওকসানাকে তালাক দেন তিনি। আর এবার একমাত্র সন্তানের জন্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ৫০ বছরের সাবেক এ রাজা। তার সাবেক স্ত্রী ওকসানা ভোয়েভোডিনা জানান, ওই ছেলেই সুলতান মুহাম্মদ পঞ্চমের সন্তান। ওই ছেলের শরীরে বইছে রাজার রক্ত। তিনি বলেন, পাঁচ মাস বয়সি ইসমাইল লিয়ন দেখতে একেবারে তার বাবার মতো। তিনি জানান, ২০১৮ সালে তাদের বিয়ের পর কোনো একদিন তিনি ওই সন্তান গর্ভে ধারণ করেন। তালাকের পর তার সন্তানের ভরণ-পোষণ চান। আর তা নিয়েই বাধে বিপত্তি। সুলতান মনে করেন, লিয়ন তার মতো দেখতে হয়নি। তিনি জানান, ওই নারীকে বিয়ে করাই ছিল তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। সুলতান মুহাম্মদ মনে করেন, একটি ছেলের ছবি প্রমাণ করতে পারে না যে ওই ছেলের বাবা তিনি। তিনি ছেলের ছবি দেখে মনে করেন, ওই ছেলের বাবা কোনো এশিয়ান মানুষ হয়ে থাকবে। তবে তিনি নন। কারণ ওই ছেলে নাকি দেখতে তার মতো নয়! সাবেক এই রাজার অস্বীকারের পর ওকসানা ডিএনএ টেস্টের কথা বলেন। তিনি মস্কোর একটি কোর্টে আবেদনও করেন। তিনি জানান, সন্তানের বাবা সুলতান মুহাম্মদ পঞ্চম। আর তা প্রমাণের বিষয়টি আদালতে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গত ২২ নভেম্বর মস্কোর বারভিখা কনসার্ট হলে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৫০ বছর বয়সি রাজা সুলতান মুহম্মদ পঞ্চমকে বিয়ে করেন ২৫ বছরের এই রুশ সুন্দরী। দুই দেশের প্রথা অনুযায়ী হয় তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর গত ১ জুলাই সাবেক রাজা সুলতান মুহম্মদ পঞ্চমের সঙ্গে রিহানার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী, রাজা তাকে তিন তালাক দিয়েছেন। তালাকনামার একটি কপি রুশ সুন্দরীর কাছে পাঠানো হয়েছে। এদিকে গত ২১ মে ছেলেসন্তানের মা হন রিহানা। তবে এই সন্তানের জন্ম দিনয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে। সাবেক রাজার আইনজীবী কোহ সিঙ্গাপুরের স্ট্রেইটস টাইমস পত্রিকাকে বলেছেন, সুলতান মুহম্মদ পঞ্চম এই সন্তানের বাবা নন। তবে তালাকের কথা পুরোপুরি অস্বীকার করে সাবেক রুশ সুন্দরী রিহানা মালয়েশিয়াকিনিকে বলেন, আমি ডিভোর্সের বিষয়ে কিছুই শুনিনি।