জা র্মা নি

সাবেক খুনির অনুরোধ রাখল জার্মানির আদালত

প্রকাশ | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
ইন্টারনেট থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে জার্মানির এক আলোচিত খুনির নাম। মুক্তি পাওয়ার পর তার আবেদনের প্রেক্ষিতে এমনটাই রায় দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। ১৯৮২ সালের ঘটনা। আপোলোনিয়া নামের একটি জাহাজের ক্রু ছিলেন তিনি। জাহাজটি ক্যারিবীয় উপকূলে পৌঁছালে তার সঙ্গে অন্যদের বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে তিনি গুলি করে দুজনকে হত্যা করেন, আরেকজন গুরুতর আহত হয়। এই ঘটনা জার্মানিতে চাঞ্চল্যকর এক মামলায় পরিণত হয়। একের পর এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় গণমাধ্যমে। ঘটনাটি অবলম্বনে বের হয় একটি বই, জার্মানির সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম এআরডিতে ২০০৪ সালে প্রচারিত হয় একটি তথ্যচিত্র। সাজা শেষে ২০০২ সালে মুক্তি পেয়েছেন দুজনকে খুন করা সেই ব্যক্তি। কিন্তু তার নামটি মামলা চলার সময় ছাপানো প্রতিবেদনের আর্কাইভ সংস্করণে রয়ে গেছে। ১৯৯৯ সালে জার্মানির বিখ্যাত ম্যাগাজিন ডেয়ার স্পিগেল তাদের পুরনো কিছু সংখ্যা ইন্টারনেটে প্রকাশ করে। যেখানে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৩-র মধ্যে সেই খুনিকে নিয়ে করা তিনটি প্রতিবেদনও রয়েছে। ২০০৯ সালে বিষয়টি জানতে পারেন তিনি। অনলাইনে তার নাম ধরে সার্চ করলে ওই তিনটি প্রতিবেদনই আগে আসে। এ নিয়ে আদালতে ধরনা দেন তিনি। আবেদন জানান প্রতিবেদনগুলো যাতে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। জার্মানির ফেডারেল কোর্ট অব জাস্টিস প্রথমে মামলাটি খারিজ করে দিয়েছিল। বলা হয়েছিল, আপোলোনিয়া হত্যাকান্ড সম্পর্কে জানার অধিকার জনগণের রয়েছে, আর এর সঙ্গে তার নামটিও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু পাল্টা যুক্তি তুলে ধরেন সেই ব্যক্তি। আদালতকে তিনি বলেন, প্রতিবেদনগুলোর ইন্টারনেট আর্কাইভের কারণে তার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন হচ্ছে। শুধু তাই নয়- এর ফলে তিনি নিজের ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে পারছেন না। এমন অবস্থায় জার্মানির উচ্চ আদালত তার যুক্তির পক্ষেই রায় দিয়েছে। তাহলে কি মানুষ খুনির নাম জানতে পারবে না? আদালত বলছে, সার্চ ইঞ্জিন চলমান ও সাম্প্রতিক অপরাধের ঘটনার সংবাদ দেখাতে পারে। কিন্তু পুরনো সংবাদ প্রতিবেদনে খুনিদের নাম থাকা জনস্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ নয়। রায় অনুযায়ী, জার্মান গণমাধ্যমগুলো অনলাইন আর্কাইভে পুরনো প্রতিবেদন পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত রাখতে পারবে, তবে কেউ সেখান থেকে তার নাম সরাতে চাইলে সেটিও আমলে নিতে হবে। ডয়েচে ভেলে অবলম্বনে