নতুন আইনে নাটকের স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার আশঙ্কা

প্রকাশ | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
য় আইন ও বিচার ডেস্ক হাঙ্গেরিতে নাটকের পরিচালক ও অভিনেতাদের স্বাধীনতা খর্ব করায় উদ্যোগী হয়েছে সরকার। বুদাপেস্টে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করলেন হাজার হাজার নাট্যকর্মী, পরিচালক এবং নাট্যপ্রেমীরা। নাটকে সরকারি নিয়ন্ত্রণের প্রতিবাদে মুখর হলো বুদাপেস্ট। নাট্যকর্মীদের বক্তব্য, শিল্পীর স্বাধীনতা তারা ক্ষুণ্ন হতে দেবেন না। হাঙ্গেরির দক্ষিণপন্থি সরকার সোমবার সংসদে একটি বিতর্কিত বিল পেশ করেছে। সেই বিলে বলা হয়েছে, সরকারি অনুদানে যে নাটক হয়, তার অর্থ সাহায্য করা এবং ম্যানেজমেন্ট প্রক্রিয়ায় আমূল বদল আনা হবে। সরকারি মুখপাত্র ইস্টভাল হলিক জানিয়েছেন, 'যদি এই বিল অনুমোদিত হয়ে যায়, তা হলে যে সব নাটকে সরকার অর্থ দেবে, তার পরিচালক কে হবেন, তা ঠিক করার সময় সরকারি প্রতিনিধির বক্তব্য গুরুত্ব পাবে।' এই বিল বুধবার অনুমোদন হওয়ার কথা। তাই নাট্যকর্মীরা প্রতিবাদে নেমে পড়েছেন। সরকারের এই উদ্যোগের পিছনে আছে অত্যন্ত জনপ্রিয় পরিচালকের নাটক, যা বুদাপেস্টের সব থেকে চালু হলে রম রম করে চলছিল। এরপর প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওর্বানের দলের এক পদস্থ নেতার মন্তব্য ছিল, 'এরা সরকারের কাছে নাটক করার জন্য অর্থ দাবি করবে, কিন্তু তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরকারকে ঢুকতে দেবে না, তাদের অপরাধের কথা বছরের পর বছর চেপে যাবে, এটা হতে পারে না।' হাঙ্গেরিতে সাংস্কৃতিক কাজকর্মের জন্য সরকার প্রচুর অর্থ সাহায্য করে। তাই পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর তুলনায় হাঙ্গেরিতে মিউজিয়াম, অপেরা, নাটকের টিকিটের দাম তুলনামূলকভাবে অনেক কম। কিছু পুরসভাও নাটকে অর্থসাহায্য করার জন্য সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকে। সরকারের দাবি, নতুন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আসবে। বিলে বলা হয়েছে, সরকারের নূ্যনতম প্রত্যাশা হলো, যে কাজ হচ্ছে, তা দেশের স্বার্থ ও উন্নয়নকে রক্ষা করবে। এরপর নাট্যকর্মীদের দাবি, নতুন বিলে তাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। সরকারের প্রস্তাবের নিন্দা করে ৪৫ হাজার লোক একটি আবেদনপত্রে সই করেছেন। প্রখ্যাত অভিনেতা ও পরিচালক তামাস জর্ডন বলেছেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। রাজনৈতিক দৃষ্টকোণের ওপরে ওঠা অন্তত এই ক্ষেত্রে সম্ভব। বুদাপেস্টের মেয়র গার্গেলি কারাকসনি প্রতিবাদকারীদের কাছে বলেছেন, 'নাটকের স্বাধীনতা রক্ষা করার অর্থ শহরের স্বাধীনতাও রক্ষা করা।' এই প্রতিবাদের মধ্যেই বুধবার বিল পাস করার উদ্যোগ নেবে সরকার।