ভুয়া পর্নোগ্রাফি ব্যবহারের অনুমতি পেলেন তদন্তকারীরা

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
তদন্তের খাতিরে ভুয়া ও কম্পিউটারে তৈরি শিশু পর্নোগ্রাফি ব্যবহারের অনুমতি পেলেন জার্মানির তদন্তকারীরা। সম্প্রতি সংসদে এ সংক্রান্ত আইন পাস হয়েছে। শিশুদের প্রতি যৌনাসক্ত বা পেডোফিলদের ধরতে তদন্তকারীদের মাঝে মধ্যে বিভিন্ন পর্নো সাইটে ঢোকার প্রয়োজন পড়ে। এমন অনেক সাইটে প্রবেশের শর্ত হিসেবে শিশুদের অশ্লীল ছবি কিংবা ভিডিও আপলোড করতে হয়। সে কারণে তদন্তকারীরা এতদিন চাইলেও এসব ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারতেন না। এই সমস্যার সমাধানে আইনে পরিবর্তন আনলেন সংসদ সদস্যরা। ফলে এখন থেকে তদন্তকারীরা একজন বিচারকের অনুমতি নিয়ে ভুয়া শিশু পর্নোগ্রাফি ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া তদন্তকারীদের বিশেষ প্রশিক্ষণও নিতে হবে। এছাড়া 'সাইবার গ্রম্নমিং' আইন আরও শক্তিশালী করার পক্ষেও ভোট দিয়েছেন জার্মান সংসদ সদস্যরা। ফলে এখন থেকে কোনো পেডোফিল কোনো তদন্তকারীকে শিশু মনে করে তাকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করলে, সেটিও অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। শিশুদের নিয়ে কাজ করা জার্মান সংস্থা 'ডয়েচার কিন্ডারহিলফসভ্যার্ক' নতুন পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে আইনে আরও পরিবর্তন আনা উচিত বলেও মনে করছে তারা। 'আইনে এমন পরিবর্তন ছাড়াও অনলাইনে সাইবার গ্রম্নমিং থেকে শিশুদের বাঁচাতে পুলিশ ও বিচার বিভাগে আরও তদন্তকারী নিয়োগ করা প্রয়োজন,' বলে মনে করেন সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট আন্নে লু্যটকেস। এ ছাড়া অনলাইনের বিপদ সম্পর্কে শিশুদের আরও সচেতন করার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন বলেও মনে করছেন তিনি। পেডোফিলিয়া একটি মানসিক রোগ। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পেডোফিল বলা হয়, যারা শিশুদের প্রতি যৌনাসক্ত। কয়েক বছর আগে মানবাধিকার সংস্থা 'ত্যার দেজ অম' খুব সহজ একটা পরীক্ষা করে। নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডামের একটি ভবনে কম্পিউটার-সৃষ্ট একটি ১০ বছরের মেয়ে নিজেকে 'সুইটি' নামে পরিচয় দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খোলে। তথ্য হিসেবে দেয়া হয় যে, মেয়েটির বয়স ১০ বছর এবং সে ফিলিপাইনের অধিবাসী। এখানেই শেষ নয়, এর সঙ্গে একটা নকল ভিডিও ব্যবহার করে সংস্থাটি। বলা বাহুল্য, সুইটি শিশুদের প্রতি যৌনাসক্ত প্রাপ্তবয়স্কদের আকৃষ্ট করে অচিরেই। মানবাধিকার সংস্থাটির প্রধান আলবার্ট ইয়াপ ফান সান্টব্রিংক সাংবাদিকদের জানান, অ্যাকাউন্ট খোলার ১০ সপ্তাহের মধ্যেই ৭১টি দেশের অন্তত ২০ হাজার ব্যক্তি কম্পিউটার-সৃষ্ট সুইটিকে অর্থের বিনিময়ে ওয়েবক্যামের সামনে যৌন কর্মকান্ডের প্রস্তাব দেয়। জানা যায়, শিশুদের প্রতি যৌনাসক্ত সে সব ব্যক্তিকে বেশির ভাগেরই বয়স ৩৫ বছর, যাদের সন্তান রয়েছে। এমনকি চিকিৎসক, প্রকৌশলীও আছে এদের মধ্যে।