অন্তঃসত্ত্বা নারীদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়া কঠিন হচ্ছে

প্রকাশ | ২৮ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিলেই নাগরিক হয়ে যাওয়ার সুবিধা বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস বলেছে, 'জন্ম অভিবাসন' রুখতে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ভিসা পাওয়া কঠিন করা হবে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরই 'অবৈধ অভিবাসন' বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রে আসছে নারীদের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সন্তান জন্ম দেয়ার প্রবণতা বন্ধের উদ্যোগ। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ইমিগ্রেশন স্টাজিজের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৬ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত 'জন্ম অভিবাসন' আইনের সুবিধা নিয়ে অন্য দেশ থেকে আসা নারীরা ৩৩ হাজার শিশুর জন্ম দিয়েছেন। ওই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৩৮ লাখ শিশু জন্ম নিয়েছিল। এক বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিদেশ থেকে বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ভিসা পেতে সহায়তা করে এমন তিনটি নেটওয়ার্ক ভেঙে দেয়। এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস বলেছে, জাতীয় ও নাগরিক নিরাপত্তার স্বার্থে বি-ওয়ান এবং বি-টু ভিসা নিয়ে অস্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঘুরতে এসে সন্তান জন্ম দেয়ার মাধ্যমে নাগরিকত্ব নেয়া রুখতে হবে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টেফানি গ্রিশাম বিবৃতিতে বলেন, 'জন্ম অভিবাসন শিল্প মূল্যবান হাসপাতাল সম্পদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে, অপরাধকর্ম বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখছে।' যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, দেশে জন্ম নেয়া সব শিশু স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব পেয়ে যায়। নতুন আইনে কনসুলার অফিসারদের সন্দেহ হলে কারও বি ক্যাটাগরির ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করতে পারবেন। তবে ভিসাপ্রার্থী অন্তঃসত্ত্বা কিনা তা জানতে সরাসরি প্রশ্ন করা যাবে না বা কোনো পরীক্ষাও করানো যাবে না।