সু ই ডে ন

ট্রেডমার্ক করতে চান গ্রেটা টুনব্যার্গ

প্রকাশ | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
ইন্টারনেট অবলম্বনে
জলবায়ু আন্দোলন করে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছেন সুইডেনের ১৭ বছর বয়সি তরুণী গ্রেটা টুনব্যার্গ। এবার তিনি তার নামের ট্রেডমার্ক করাতে চান বলে জানিয়েছেন। ইন্সটাগ্রামে দেয়া এক পোস্টে তিনি নিজের নাম ছাড়াও তার শুরু করা 'ফ্রাইডেস ফর ফিউচার' আন্দোলন এবং সুইডিশ ভাষায় লেখা 'স্কুলস্ট্রেইক ফুর ক্লিমাটেট', যার অর্থ 'জলবায়ুর জন্য স্কুল ধর্মঘট', স্স্নোগানেরও ট্রেডমার্ক করার ইচ্ছার কথা জানান। এই সেস্নাগান লেখা পস্ন্যাকার্ড নিয়েই তিনি প্রথম সুইডিশ সংসদের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন। প্রতি শুক্রবার স্কুলে না গিয়ে এই পস্ন্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করতেন গ্রেটা। সেখানে থেকেই পরবর্তীতে 'ফ্রাইডেস ফর ফিউচার' আন্দোলন গড়ে ওঠে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা শুক্রবার করে জলবায়ু আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন, নিচ্ছেন। গ্রেটা টুনব্যার্গ লিখেছেন, এই আন্দোলনকে বাণিজ্যিকীকরণের হাত থেকে বাঁচাতেই ট্রেডমার্ক করা প্রয়োজন। 'পূর্ব অনুমতি ছাড়াই সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক কারণে তার ও এই আন্দোলনের নাম নিয়মিত ব্যবহার করা হচ্ছে,' বলে জানান তিনি। আন্দোলনের নামে পণ্য বিক্রি ও মানুষের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। বই থেকে পাওয়া রয়্যালটি, দান, প্রাইজমানি ইত্যাদি থেকে পাওয়া অর্থ স্বচ্ছতার সঙ্গে ব্যবহারের জন্য পরিবারের সঙ্গে মিলে একটি ফাউন্ডেশন গড়ে তোলা হয়েছে বলেও জানান টুনব্যার্গ। বর্তমান সময়ের অতি জরুরি সমস্যার বাস্তবসম্মত উপায় বের করায় যারা অবদান রাখেন, তাদের সম্মানিত করতে ১৯৮০ সাল থেকে 'রাইট লাইভলিহুড অ্যাওয়ার্ড' দেয়া হয়। এটি বিকল্প নোবেল নামেও পরিচিত পেয়েছে। জার্মান-সুইডিশ লেখক, অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনীতিবিদ কার্ল ভোলমার ইয়াকব ফন উক্সকু্যল এই অ্যাওয়ার্ড চালু করেন। সাধারণত পরিবেশ রক্ষা, মানবাধিকার, টেকসই উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও শান্তি বিষয়ে অবদান রাখায় বিকল্প নোবেল দেয়া হয়ে থাকে। সুইডেনের স্টকহোমে যেদিন নোবেল দেয়া হয় তার আগের দিন সুইডিশ সংসদে বিকল্প নোবেলের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। ২০১৯ সালে বিকল্প নোবেল পেয়েছেন চারজন। এর মধ্যে একজন সুইডেনের ১৬ বছর বয়সি শিক্ষার্থী গ্রেটা টুনব্যার্গ। ২০১৮ সালের আগস্টে সুইডেনের গণমাধ্যম আসন্ন সংসদ নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিল। সেই সময় প্রথমে তিন সপ্তাহ এবং পরে প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার স্কুলে না গিয়ে সংসদের সামনে একাই বিক্ষোভ শুরু করেছিল গ্রেটা টুনব্যার্গ। তখন সে নবম শ্রেণিতে পড়ত। আট কি নয় বছর বয়সে শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রথম জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে পারে গ্রেটা টুনব্যার্গ। তখন থেকে সে দুধ ও মাংস খাওয়া ছেড়ে দেয়। এমনকি একেবারে প্রয়োজন না হলে নতুন কিছু কেনে না।