দীঘির্দনের যৌন সম্পকর্ কি বিয়ের সমতুল্য?

প্রকাশ | ২১ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টাচ্ছে বিয়ে নিয়ে মানুষের ধারণা। অনানুষ্ঠানিক সম্পকের্র দিকে ঝুঁকছে আজকের প্রজন্ম। দুই প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ-নারী সামাজিকতার তোয়াক্কা না করেই শরীরী সম্পকের্ লিপ্ত হচ্ছে। দীঘির্দনের এমন সম্পকের্ক কি বিয়ের মতো সামাজিক বন্ধনের সমান মযার্দা দেয়া যেতে পারে? এমনটাই জানতে চেয়েছে ভারতীয় সুপ্রিম কোটর্। এ বিষয়ে মতামত জানানোর জন্য দেশটির অ্যাটনির্ জেনারেল কে কে বেণুগোপালকে নিদের্শ দেয়া হয়েছে। এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই শীষর্ আদালতে বিষয়টি ওঠে। ধষের্ণ অভিযুক্ত এক ব্যক্তি আদালতে দাবি করেন অভিযোগকারী মহিলার সঙ্গে দীঘির্দন ধরে শারীরিক সম্পকের্ লিপ্ত তিনি। দুই পক্ষের সম্মতিতেই এই সম্পকর্ স্থাপন হয়েছে। তিনি মহিলাকে জোরও করেননি। কিন্তু এর জন্য তিনি বিবাহ করতে বাধ্য নন। সেই সিদ্ধান্তই নারীটিকে জানিয়েছিলেন তিনি। এর জেরে মহিলা ধষের্ণর অভিযোগ এনেছেন। এমন মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোটের্র বিচারপতি জানান, বিয়ে ছাড়াও শারীরিক সম্পকের্র দায় থেকে যায়। কিন্তু ভারতীয় সংবিধানে এ নিয়ে সুনিদির্ষ্ট কোনো আইন না থাকায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযুক্তরা ছাড়া পেয়ে যান। এমন সম্পকের্ক কি বিয়ের সমতুল্য হিসেবে ধরা উচিত? সে ক্ষেত্রে এমন শারীরিক সম্পকের্র মেয়াদ কতদিন হতে হবে? এ নিয়ে মতামত দেয়ার জন্য অ্যাটনির্ জেনারেল কে কে বেণুগোপালকে আদালত নিদের্শ দিয়েছে একজন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলকে বিশেষভাবে নিযুক্ত করতে। আদালতের মতে, দীঘির্দন ধরে শারীরিক সম্পকর্ থাকলে বিয়ের মতোই কিছু দায়িত্ব তৈরি হয়ে যায়। ফলে, একে আইনি পরিধির মধ্যে আনা জরুরি। এই ধরনের সম্পকের্ কোনো অভিযোগ উঠলে কিংবা নারী কোনো রকম নিযার্তনের শিকার হলে যাতে আইনি পথে পুরুষ সঙ্গীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়। সেই জন্যই এ বিষয়ে মতামত জানতে চেয়েছে সবোর্চ্চ আদালত। সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।