দেশের প্রথম শিশু আদালত ঢাকায়

প্রকাশ | ২৮ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

আইন ও বিচার ডেস্ক
শিশু আইন ২০১৩ অনুসারে অতিরিক্ত দায়রা জজ পদমযার্দার একজন বিচারক নিয়ে প্রতিটি জেলা ও মহানগরে শিশু আদালত গঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু শিশুদের জন্য নিজস্ব কোনো আদালত কক্ষ কিংবা বিচারক এতদিন পযর্ন্ত নিধাির্রত ছিল না। দেশে প্রথমবারের মতো প্রধান বিচারপতি এই শিশু আদালত কক্ষের উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে। এর ফলে এখন থেকে শিশুদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিচার তাদের জন্য নিধাির্রত এই বিশেষ কক্ষেই অনুষ্ঠিত হবে। দেশের প্রথম শিশু আদালত কক্ষের উদ্বোধন করার সময় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে শিশু আদালত কক্ষ স্থাপিত হওয়ায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। শিশু আদালতের জন্য পৃথক আদালত কক্ষ স্থাপনের কারণে শিশুবান্ধব পরিবেশের মধ্যে বিচারকাযর্ করা সম্ভব হবে।’ ১২ আগস্ট রোববার বিকালে ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের জগন্নাথ-সোহেল মিলনায়তনে শিশু আদালতের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সুপ্রিম কোটর্ স্পেশাল কমিটি ফর চাইল্ড রাইটসের (এসসিএসসিসিআর) উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘শিশুরাই দেশ ও জাতির কণর্ধার। জাতির ভবিষ্যৎ অগ্রগতিতে নেতৃত্ব দেবে আজকের শিশুরা। ফলে তাদের আদশর্ মানুষ ও শিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও মানসিক বিকাশে আমাদের সচেতন হতে হবে। কোনো শিশুই অপরাধী হয়ে জন্মগ্রহণ করে না। পরিবেশ-পরিস্থিতিই একজন শিশুকে অপরাধী করে তোলে। কিছু স্বাথাের্ন্বষী মানুষের আশ্রয়ে এরা বিচরণ করে অপরাধ জগতের বিভিন্ন পযাের্য়। কোনো শিশুই যাতে বিপথগামী না হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকা আমাদের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব।’ তিনি আরও বলেন, ‘শিশু, নারী ও অনগ্রসর নাগরিকদের অগ্রগতির জন্য সংবিধানের ২৮(৪) অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রকে বিশেষ বিধান প্রণয়নের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। সেই আলোকে ১৯৭৪ সালে সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নাগরিকদের গুরুত্বের কথা উপলব্ধি করে শিশু আইন প্রণয়ন করা হয়। পরে শিশু আইন, ১৯৭৪ বাতিল করে শিশু আইন, ২০১৩ প্রণয়ন করা হয়।’ সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত ও আইনের সংস্পশের্ আশা শিশুর বিচার শিশু আদালতে করার বিধান রয়েছে বতর্মান শিশু আইনে। এই আইন অনুসারে প্রত্যেক জেলা সদরে এবং মেট্রোপলিটন এলাকায় একটি করে শিশু আদালত রয়েছে। অতিরিক্ত দায়রা জজ পদমযার্দার একজন বিচারক এই আদালতের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে থাকেন। কোনো জেলায় অতিরিক্ত দায়রা জজ না থাকলে ওই জেলার জেলা ও দায়রা জজ তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে শিশু আদালতের দায়িত্ব পালন করেন।’