লোইলা পুকুর

প্রকাশ | ০৩ জুলাই ২০২০, ০০:০০

মো. আনুয়ারুল ইসলাম
কত সাঁতার কেটেছি, মাতৃস্নেহা জলে! কমল তুলেছি প্রাতে আঁচড় খেয়েছি, ব্যাড়জাল দিয়ে হেথা কাতল ধরেছি; মধুময় স্মৃতিগুলি যায়নি গো ভুলে। দোলনা খেয়েছি পাড়ে, বট-মূলে ঝুলে শতদল ভরা বুকে বারেক চেয়েছি, শালুক পুড়িয়ে খেয়ে কি মজা পেয়েছি। \হহেরেছি প্রিয়ার মুখ জলভরা ছলে। কত দিন কেটেগেছে, হয়নিগো দেখা! ভুলবনা জননী-গো; মনে রেখ দুঃখে, ঠায় যেন হয় পাড়ে; জ্বেলে রেখো শিখা, ঝরব নীরদ হয়ে তৃষ্ণা ভরা বুকে; খুঁজে নিও জননী-গো, নাচে যবে কেকা; দুরন্ত ছেলের স্নানে, সিক্ত লাল চোখে। কতবার ডেকেছো গো; বুঝিনি তোমারে! মজেছি ভব সংসারে; হেরেনি গো বাণী, সঞ্চয় নাহি জীবনে বৃথা কানাকানি; \হবাজে তব তার নাম শোভিত মিনারে। হয়নি বচন কভু অনাবিল ঘরে লোচনে যে অন্তরাল ঝরলনা পানি, পাতকের শৈল শিরে, ক্ষমা নেয় জানি; ছিঁড়ে খাবে শত কিটে, বিপিন কিনারে। ক্ষমা করিও গো প্রভু পাপিষ্ঠ অধমে হাজারে আসওয়াদ চুমে একবার মিজানের পালা ভারী করিও নির্ধনে, তিমিরে পুলসিরাত হয় যেন পার; \হঐ হাওজে কাওসার পিয়াসি দুর্দিনে; আরশের ছায়া যেন, মাস্তুল মাথার।