দীর্ঘশ্বাসের পারদ এবং সংখ্যা

প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০২০, ০০:০০

স্বপ্নীল ফিরোজ
বেদনায় মুহ্যমান পাথর হয়ে আমরা বেঁচে আছি। ফুলের সুবাস, পাখির গান, নদীর ঢেউ একে একে সবাই চলে যাচ্ছে। শিশুটি কেন হাসছে এমন করে? এ হাসি সহ্য করার ক্ষমতা কারও নেই। শহরের নেই, গ্রামের নেই, মরুভূমির নেই, বনানীর নেই। যে আগুন ইব্রাহিমকে পোড়াতে পারেনি, সীতাকে পোড়াতে পারেনি, সে দখল নিচ্ছে অসহায় চোখ। মাটি দখল নিচ্ছে হৃদপিন্ডের ঢিপঢিপ। এ দৃশ্য দূরে দাঁড়িয়ে দেখছে রকি পর্বতমালা, হিমালয়, আল্পস সাতটি সমুদ্র, চাঁদ, সূর্য আর কিছু নিরীহ সংখ্যা। চোখে জল নিয়ে মানুষ অনেকদিন বাঁচতে পারে। নির্মল বিশ্বাস নিয়ে শিশুটি হেসে হেসে মায়ের দিকে তাকিয়ে দেখবে প্রস্তরমূর্তি। আমি জানি স্তনে দুধ নেই, শিশু তবুও চুষবে মায়ের বুক, যতক্ষণ না আমার হৃদয়গ্রাফ একটি সরলরেখায় উপনীত হয়। এ এক নিদারুণ সংক্রামক। নিউইয়র্ক শহরের আনাচে কানাচে অসংখ্য পাথরের মূর্তি। এ সংখ্যা বৃদ্ধি করতে তুমি এসো না। তুমি আমার হাত ধরলে এবার ছাড়তে হতো। ধরোনি বলে মৃতু্যর পরেও প্রশ্নই ওঠে না তোমাকে ছেড়ে যাবার। এখন মৃতু্য আর কোনো বেদনা নয়। চোখের জল নয়, হাহাকার নয়, বিষাদ নয়, শুধুই ছোট বড় সংখ্যা, যেখানে আঁটকে আছে দীর্ঘশ্বাসের পারদ।