দুটি কবিতা

প্রকাশ | ২৩ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

সরকার মাসুদ নিঃসঙ্গ আয়নায়
আজ তোমার সাথে অনেকক্ষণ কথা বললাম শুধু আমিই একনাগাড়ে কথা বললাম তুমি শুনে গেলে মেঘে ঢাকা মিনারের চূড়া! তারপর তুমি এক প্রশ্ন তুলেছ একটা অদ্ভুত প্রশ্ন করেছ তুমি তুমি আমাকে একঘেয়ে জল থেকে গেঁথে তুলেছ মধুর যন্ত্রণার তামাশার হাওয়া পৃথিবীতে আমি কথা বললাম; বললাম যদি কেউ নিস্তরঙ্গ পুকুরে ঢিল ছুড়ে আসে জলতরঙ্গ শেষ হয় মনে শেষ হয় না তো ঢেউ! শুনার পর তুমি জানালার বাইরে তাকালে জানালার বাইরে সবখানে ছড়ানো আমার মুখ তুমি চলে যাবার অনেক পরে আমি বুঝলাম অন্যমনস্কতার অনেক ভেতরে বীজ, মুনোসুখ; কঠিন সত্যগুলো খুব কম ধরা পড়ে নিঃসঙ্গ আয়নায়। হতে পারে সকাল হচ্ছে কুঁড়েঘরের বাইরে, নদীতীরে শিশুর চোখের শাদা অংশের মতো ভোরবেলার অঙ্গলার রঙ; শ্যামল বাইরে ডেকে আমাকে দেখালো নদী কুয়াশায় ক্রমশ মিলিয়ে যাচ্ছে পথিকের মুখ আরেক পথিকের মাথা পরিষ্কার হচ্ছে ধীরে ধীরে। নভেম্বর শেষ প্রাথমিক শীত ওপারের কাশবনে শাখা নদী মজা- এপারে কুয়াশা এপারে আগন্তক কিছু একটা চায় মনে মনে এখন সুন্দর গুমগুম শব্দ তুলে ভৈরব লোকাল ধীরে পার হয়ে যায় ঠান্ডা শম্ভগঞ্জ ব্রিজ। সিকি কুয়াশায় গুপ্তঘাতক জংশন স্টেশনে বসে চা খায়!