গল্প

শুভাশীষ

প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

নাহার ফরিদ খান
দুপক্ষেই তোড়জোড় চলছে এনগেজমেন্টের। শুভা আর সলিলের প্রেমজীবনের সামাজিক পরিণতি। চার বছরের খুল্লাম খুল্লা প্রেম। উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবার। শিক্ষিত, স্মাটর্, ভদ্র পরিবার। সমান্তরাল দুই পরিবারের সম্মতিতেই এনগেজমেন্টের তারিখ ঠিক করা হয়েছে। তবে একটু তাড়াহুড়া করেই সিদ্ধান্তটা নিতে হলো কারণ শুভা স্কলারশিপ পেয়ে লন্ডন পড়তে যাচ্ছে। প্রায় দেড় বছর লাগবে মাস্টাসর্টা শেষ করতে। শুভার স্বপ্নের একটি সফল হচ্ছে। শুভা খুব খুশি। বিদেশে পড়তে যাওয়ার আগে তাই দুই পক্ষেই শুভকাজটা শেষ করতে চায়। পড়া শেষ করে আসার পরেই বিয়ের অনুষ্ঠান হবে। সলিল বছর খানেক আগে বিদেশ থেকে পড়াশোনা শেষ করে এসে ব্যবসার জন্য দৌড়ঝঁাপ করছে কারণ চাকরিতে ওর নাকি পোষাবেনা। আলো ঝলমল এক সন্ধ্যায় ওদের এনগেজমেন্ট হয় জঁাকজমক ভাবেই। আনন্দে ভাসতে ভাসতে প্লেনে ওঠে শুভা। স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলে। উহ্ আত্মীয় স্বজন, শ্বশুরবাড়ির সবার উপদেশে মনে হচ্ছিল শুভা যেন কোনো ক্রাইম জোনে ক্রাইম করতে যাচ্ছে। সবাই সলিল আর তার পরিবারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বিদেশে পড়তে অনুমতি দিয়ে যেন শুভাকে ওরা কৃতাথর্ করেছে। কিন্তু শুভার মনে হয়েছে এটা ওর অধিকার। ওর মেধার স্বীকৃতি এই স্কলারশিপ। সুতরাং এখানে অনুমতি দেয়ার কি আছে? একটি ছেলের যেমন বিদেশে পড়তে যাওয়ার স্বাধীনতা আছে একটি মেয়ের ও তেমনি স্বাধীনতা আছে। থাকা উচিত । যদিও ওর পড়ামোনার জন্য বাড়তি কোনো খরচই লাগবে না। এই সুযোগ শুভা কেন হারাবে? ইউনিভাির্সটি থেকে আর একটি ছেলে স্কলারশিপ পেয়েছে। রাজীব চৌধুরী, এয়ারপোটের্ দেখা হতেই পরিচয় পবর্টা ঝালিয়ে নিল। মুখচেনা কিন্তু পরিচয় ছিল না। রাজীবের সঙ্গে একটা ক্লাস ছিল, খুব একটা খেয়াল করেনি কখনো। গোবেচারা টাইপের রাজীব বইপোকা। পৃথিবীর দিকে না তাকিয়ে বইতে পৃথিবী দেখে নিয়েছে। মা একটু নিশ্চিন্ত এ দেশের একজন চেনা ছাত্রের সঙ্গে যাচ্ছে। যদিও বিদেশে কারও তেমন লাগে না। তবু বিদেশ বিভুঁইয়ে দেশে একজন অতি সাধারণ লোককে খুব আপন মনে হয়। শুভার জন্য ডমর্ ঠিক করা আছে। সুতরাং অসুবিধার কিছু নেই। যাওয়ার পথে টুকটাক কথা হয়। শুভা মনে মনে হাসে। রাজীব আজকালকার ইয়ং জেনারেশনের মতো নয়। সাবলীলভাবে কথা বলতে পারে না। একটু অন্যরকম। ফ্যাশন তেমন বোঝে না। প্লেনেও বইয়ে মুখ গুঁজে ছিল। শুভার মনে হয় পড়তে পড়তে মাথার নাটবল্টু একটু ঢিলা হয়ে গেছে। দুবাই এয়ারপোটের্ও দেখলো ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছে। শুভা যথাসময়ে এসে লন্ডনে পেঁৗছাল। ইমিগ্রেশন শেষ করে বাইরে এসে দেখে রাজীব ওর জন্য অপেক্ষা করছে। শুভা বলল ‘একটা ট্যাক্সি নিয়েই যাই’। রাজীব বলল ‘তাই ভালো। তোমাকে ডমের্ নামিয়ে আমার বাসায় চলে যাবো’ ‘তুমি ডমের্ উঠলে না কেন রাজীব?’ ‘ডমের্ না থেকে আলাদা বাড়িতে থাকলে খরচ কম। আর পড়াশোনাটা ভালোভাবে করা যায়। তোমার ডমর্ থেকে আমার বাসা একেবারেই কাছে। একটা ঝঃঁফবহঃ-এর সঙ্গে শেয়ার করব-’ শুভা একেবারেই চঞ্চল প্রজাপতি। পৃথিবীর রং, রূপে বিমুগ্ধ। আনন্দ, আড্ডার সঙ্গে পড়াশোনাতেই চৌকশ। আড্ডা দিতে, মানুষের সংগে মিশতে খুব পছন্দ করে তাই সহজেই অনেক বন্ধু হয়ে যায়। ওর বড় সম্পদ ওর মন। সুন্দর নিমর্ল একটা মনের মেয়ে। দেখতেও অপরূপা। সাজগোজ তেমন করে না। হালকা লিপস্টিক আর ফেস পাউডারেই ওকে দারুন লাগে। সিল্কি চুলগুলো যখন হাওয়ায় ওড়ে মুগ্ধ যুবকেরা যেন ‘ভিরমি’ যায়। উপরে হাসিখুশি চঞ্চল হলেও ভেতরে দৃঢ়, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একটা মানুষ। রাজীব খুব ভালো ছেলে। ভদ্র, বিনয়ী, পরোপকারী। ধীরে ধীরে রাজীবের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে শুভার নিভর্রশীল একটা বন্ধু। যখনই কোনো প্রয়োজনে রাজীবকে স্মরণ করেছে। রাজীর প্রশ্ন না করে ওর পাশে থেকেছে। লন্ডনে যাওয়ার কয়েকদিন পরে একদিন বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল শুভা হঠাৎ একটা উৎঁহশ লোক এসে শুভাকে উত্ত্যক্ত করা শুরু করল। পামের লোকজনেরা এত ভদ্র যে তারা তাকিয়ে দেখছিল। বাংলাদেশ হলে এতক্ষণে শুভাকাক্সক্ষীরা একহাত দেখে নিত লোকটিকে। শুভা একটু ভড়কে গেল মনে মনে। রাজীবকে ফোন দিল। সঙ্গে সঙ্গে রাজীব পুলিশ কল করার পরামশর্ দিল। এতক্ষণ শুভার মাথায়ই আসেনি। ওই দেশের কোড নাম্বারে পুলিশকে কল করল। তিন মিনিটের মাথায় পুলিশ এসে ফৎঁহশ লোকটিকে নিয়ে গেল। বিদেশে এই সুবিধা আছে। পুলিশ সব সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে। ছোটখাটো প্রয়োজনে রাজীবকে সবসময় পাশে পেয়েছে শুভা। লাস্ট অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেয়ার ডেট আগামীকাল। শুভা অনবরত কাজ করে চলেছে খধঢ়ঃড়ঢ়-এ। শেষ আর হচ্ছে না। এখনো অনেক বাকি। সারারাত কাজ করতে হবে। ক্লান্তিতে ভরে যায় শরীর মন। বড্ড অস্থির লাগছিল। শুভা ফোন করে সলিলকে জানায় ওর অস্থিরতার কথা। সলিল বলে ‘এত আড্ডা না মেরে আগেই গুছিয়ে নিতে কাজগুলো তাহলে তো এখন এত ঝামেলা হতো না। কি আর করবে, রাত জেগে শেষ করো’। শুভা আর পারছে না। ঘুমে ওর চোখ বুজে আসছে। রাজীবকে ফোন দিল জানতে ওর অ্যাসাইনমেন্ট কতদূর শেষ হয়েছে। শুভা বলল ‘রাজীব আমি আর পারছি না কাজ করতে ভীষণ টায়াডর্ লাগছে। এখনো অনেক কাজ বাকি তোমার কাজ কি শেষ?’ ‘না আর দশ মিনিটের মধ্যে আমার অ্যাসাইনমেন্ট শেষ হয়ে যাবে। শুভা তুমি বরং একটু ঘুমিয়ে নাও। একঘণ্টা ঘুমাও। আমি তোমাকে ফোন দিয়ে উঠিয়ে দেবো। তখন বাকিটা শেষ করো। ‘না রাজীব একবার ঘুমুলে উঠতে পারবো না’ ‘আমাকে বিশ্বাস করো। একঘণ্টা পরে তোমাকে ফোন দিয়ে তুলে দেবো। ফোনটা কাছে রাখো।’ ‘আমার জন্য তুমি কেন কষ্ট করবে’ ‘আমিতো রাত জেগে পড়ি। আমার অভ্যাস আছে। প্লিজ শুভা একটু রেস্ট নাও। নাহলে ভুল করবে তুমি। একঘণ্টা পরেই উঠিয়ে দেবো তোমাকে’ শুভা ভরসা পেল। শুভা টেবিলের ওপর হাতে মুখটা রেখে ঘুমিয়ে পড়ল। একঘণ্টা পরে কল। ফোনটা বেজেই যাচ্ছে। বেজেই যাচ্ছে। একবার, দুবার, তিনবার, চতুথর্বার শুভা হকচকিয়ে উঠে ফোনটা ধরল। ঘড়িতে তাকিয়ে দেখলো একঘণ্টা কুড়ি মিনিট ঘুমিয়েছে। রাজীবকে থ্যাংকস জানিয়ে শুভা বাথরুমে গিয়ে চোখেমুখে পানির ঝাপটা দেয়। ইলেকট্রিক কেটলিতে এক কাপ কফি বানিয়ে নিয়ে আবার বসল ল্যাপটপের সামনে। একটুখানি ক্লান্তিটা কমেছে। কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে মনে মনে রাজীবের প্রতি কৃতজ্ঞ হলো। রাজীব শুভার ভালো বন্ধু হয়ে গেল ক্রমে ক্রমে। নিভর্রযোগ্য একজন বন্ধু। সলিল ঘটনাগুলো শুনে রাজীবকে নিয়ে প্রায়ই ঠাট্টা করত। বলতÑ ‘তোমার চামচাটার খবর কি! তোমার জন্য যেভাবে জি হুজুর, জি হুজুর করে, কবে না টেমস নদীতে ঝঁাপ দেয়।’ শুভা বিরক্ত হয় সলিলের কথায়। বলেÑ ‘শোন সলিল, আমরা সবসময় মানুষের উপরটা দেখে বিচার করি। ভেতরটা দেখতে পাই না। রাজীব খুব ভালো এমটা মানুষ। আমার জন্য আসলেই অনেক কেয়ার করে। একজন ভালো বন্ধুই তা করে।’ অবশেষে পড়াশোনা পবর্ শেষ করে ফিরে আসে শুভা। অতঃপর বিয়ে, সংসার। ভালো একটা বিদেশি সংস্থায় চাকরিও পেয়ে যায়। একেবারে যান্ত্রিক জীবনে তাল মিলিয়ে চলে। ফেসবুকে রাজীবের সঙ্গে যোগাযোগ থাকে ক্ষীণভাবে। ব্যস্ততার মধ্যে হঠাৎ ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারে রাজীব পিএইচডি করতে আমেরিকায় চলে গেছে। শুভা খুবই খুশি হয়, এ রকম স্কলার ছেলে জীবনে অনেকদূর যাবে, যাওয়া উচিত। কনগ্রাচুলেশন জানায় শুভা, দু’একবার ফোনে কথাও হয়েছে। সময়ের স্রোতে অনেক কিছু হারায়Ñ সময় বয়ে যায় তার নিজস্ব গতিতে। জীবনও থেমে থাকে না। সময়ের হাত ধরে বয়ে যায় উত্তাল জীবন। শুভা এখন বড় পজিশনে ভীষণ ব্যস্ততায় দিন কাটায়। সলিলও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে এক মাত্রায় উন্নত করতে ছুটছে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। দুজনই প্রতিষ্ঠিত, কিন্তু ওদের জীবন থেকে ঝরে গেছে আবেগ, উচ্ছ¡াস। বিয়ের পঁাচ বছরের শেষে শুভা আর সলিলের ডিভোসর্ হয়। সলিলের হিসেবী মনের সঙ্গে তাল মেলাতে পারে না শুভা। নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে আরও ব্যস্ত হয় শুভা। সাফল্যের শীষর্ সিঁড়িতে অবস্থান এখন শুভার। অফিসে ঢুকে টেবিলে একটা ইনভাইটেশন লেটার পায় শুভা। খামটা খুলে পড়তে গিয়ে হেঁাচট খায়। দুস্থ নারী ও শিশুদের নিয়ে একটি আশ্রম করেছে একটি সংস্থা। নাম ‘শুভাশীষ’ কমর্কাÐের ব্যাখ্যাও দিয়েছে। এই আশ্রমটির উদ্বোধনের জন্য শুভার নাম দিয়েছে। শুভার হঠাৎ মনে পড়ল গত পরশুদিন এই সংস্থা থেকে একটি মেয়ে শুভাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে অনুমতি নিয়েছিল। ওদের কমর্কাÐের বণর্না পড়ে শুভা আপ্লুত হলো। ও যাবে ওই আশ্রমে। দুদিন পরে ঠিক সময়ে গিয়ে পেঁৗছালো কাডের্র লেখা ঠিকানায়। শহরের কোলাহল থেকে দূরে এক বিঘা জায়গার ওপর নিমির্ত টিনের চালের পাকাঘর। চারদিকে সবুজের সমারোহ। পেছনে একটা পুকুর। শাপলা আর আলকানন্দা আলো করে রেখেছে। সূযের্র ঝিলমিল আলো পুকুরে। ঢুকতেই গেটে মাধবীলতার ঝাড় ফুলে ফুলে দুলছে। ঘরের কোণের দিকে অপরাজিতার আহ্লাদিত দোল। শুভা অবাক চোখে, মুগ্ধমন। একটু এগুতেই একদল ছেলেমেয়েরা ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে বরণ করল শুভাকে। সানগøাসটা খুলে বাচ্চাদের দিকে হাত বাড়ালো। শুভাকে ঘিরে মহিলা ও শিশুরা। ঘরের বারান্দায় দঁাড়িয়ে কয়েকজন লোক কথা বলছে। সাদা শাটর্, কালো প্যান্ট, ব্রাকব্রাশ করা চুল। সানগøাস পরা এক ভদ্রলোক এগিয়ে এসে হাত বাড়ালো শুভার দিকে। বললো, ‘চিনতে তো পারছো নিশ্চয়ই।’ শুভা অবাক হয়ে প্রায় চিৎকার দিয়ে ওঠেÑ ‘রাজীব তুমি! কবে এসেছো দেশে। এতদিন কোথায় ছিলে? ‘আমেরিকাতে সেটেল করেছি। কিছুদিন আগে দেশে এসেছি। উৎসুক সবার উদ্দেশ্যে বললো রাজীব ‘তোমাদের জন্য এই আশ্রমের স্বপ্ন দেখেছিল শুভা। আমি তার রূপদান করেছি। শুভার জন্য হাততালি হোক।’ সবাই তালি দিয়ে উচ্ছ¡সিত আনন্দে মেতে উঠল। একটি আনন্দঘন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে আসর শেষ হলো। শুভা এই রাজীবকে যেন চিনতে পারছিল না। সলিলের সঙ্গে ওর ডিভোসের্র খবরও জানে রাজীব। কিন্তু রাজীবের সঙ্গে বেশ ক’বছর শুভার কোনো যোগাযোগই ছিল না। নিজের জীবনের সমস্যা, চাকরিক্ষেত্রে ভালো অবস্থানে যাবার লক্ষ্যে একেবারে এতটাই ব্যস্ত ছিল অনেক বন্ধুদের সঙ্গেই যোগাযোগ একেবারেই ক্ষীণ হয়ে গিয়েছিল। গাড়িতে উঠতে উঠতেই আটটা বেজে গেল। নিঝুম সন্ধ্যা পেরিয়ে গেছে। আকাশে পূণর্ শশী আলো ছড়িয়েছে। ঝিঁঝিঁর ঐকতান। অনেকদিন পরে শুভা যেন নিজেকে খুঁজে পেল। খুব ভালো লাগছে এই পরিবেশটা। গাড়িতে যেতে যেতে মনে পড়ছিল লন্ডনের সেই দিনগুলোর কথা। ডমের্র কাছাকাছি একটা ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট ছিল। হেঁটেই যাওয়া যেত। রাজীব প্রায়ই ওখানে খেতো। ডমের্র অনেক ছেলেমেয়েরা ওখানে খেতো। রাজীব খেতে গেলে শুভাকে ডাকত খেতে। শুভা মাঝেমধ্যে যেত, কখনো কখনো যেত না। কিন্তু খেতে গিয়ে ওরা গল্প করত। অনেক কথা হতো। এমনকি সলিলের সঙ্গে মাঝেমধ্যে ঝগড়া হলে রাজীবের সঙ্গে শেয়ার করত যতটুকু করা যায়। রাজীব কখনো কোনো বিরূপ মন্তব্য করত না। হেসে বলত, ‘ঠিক হয়ে যাবে’। রাজীব আসলেই ওর ভালো বন্ধু ছিল। রাজীবের সঙ্গে একবার এরকম একটা আশ্রম গড়ার স্বপ্নের কথা বলেছিল। শুভার খুব ইচ্ছা ছিল সমাজের সুবিধাবঞ্চিত নারী ও শিশুদের নিয়ে ভালো একটা কাজ করার। এতদিন পরে আজ শুভার সবকিছু মনে পড়ল। রাজীব ওর স্বপ্নপূরণ করেছেÑ এটা ভাবতে ভালো লাগছে। গাড়ি চলছে। রাস্তার পাশে খোলা প্রান্তরের ওপর চঁাদ তার রূপ নিয়ে আলোকিত করছে প্রান্তর। গান বাজছে গাড়িতেÑ ‘যেতে যেতে পথে পূণির্মার রাতে চঁাদ উঠেছিল গগনে।’ শুভার দু’চোখের কোণ ভিজে উঠল।