দুটি সড়ক ভাঙার মোড়ে
কাটা খালে পড়ে পড়ে অপুষ্টি-সংসার।
যে এর ঠেকনায় দিতো শ্রম নিত্য, দূর করত ক্লান্তির লবণ
\হসে যে 'আসি' বলে মাস দুই আগে পা বাড়ালো জীবিকার খোঁজে
ফিরে আসতে হারিয়েছে পথ,
মুঠোফোন করা হলো সম্ভাব্য জায়গায়
আশা-ব্যঞ্জকের স্থলে আসে টর্নেডোর নায় নাম,
হয়তো তাকে ছোঁ মেরেছে কালো মাইক্রো, নয়তো মলমে পেয়েছে চোখ,
জি ডি-তেও সুর ছেঁড়া ছেঁড়া।
ভাসমান দেখে বাবা যাকে টেনে তুলেছিল নিজের ভেলায়
সেদিনের পর সেও আর মাড়ায়নি আমাদের বাড়ি,
তাহলে কি এখানেই গিট?
কী জানি কোথায় গা ঢেকেছে সে কুমির।
কতক্ষণ চোখ রাখা যায় ধুধু বালুর সাগরে?
ঘর খালি, পেট খালি- ধরতে হবে কচি হাতে হাল।
তাই, বাপ হারানো চাপা পাথরটা
পড়িমরি অবস্থায় খানিক সরিয়ে বের হয়ে পড়ি পথে।
কিছুদূর এগিয়ে গেলেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে নদী,
বাঘের মুড়ির মতো জেগে ওঠা চর নয়নে না পড়ে পড়লো
যে কুমিরে খেলো বাজানকে সন্দেহের সে ঘাতক
নদীর পানির কাছে আনমনা দাঁড়িয়ে-
৯৯৯-এ বার্তাটা পোঁছাই দ্রম্নত,
সিংহের গতির কাছে সে হারায় দৌড়ের সামর্থ্য।
কটি ঘাইয়েই রেবিয়ে পড়ে ঘটনার নাড়িভুঁড়ি।